ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল তখনও অন্ধকারে,
তখনও মানচিত্র হীন আমার শাশ্বত জননী ।
তুমি অঙ্কুরিত হলে
অলিখিত সবুজের বুকে,
উনিশশো বিশের সাত'ই মার্চ কে দিলে
অমরত্ব পুরস্কার ।
উনসত্তরের ২০ শে ফেব্রুয়ারি
খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু,আর
টুঙ্গিপাড়া থেকে গোটা বাংলায় !
অধিকার প্রতিষ্টায় তুমি হলে
চির সংগ্রামী পূরুষ !
বৃটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে,
পশ্চিমা শোসকের বিরুদ্ধে,
তোমার অনিরুদ্ধ গণ আন্দোলন !
মাকে ভালোবাসার অপরাধে কারাবরণ
কিংবদন্তী করেছে তোমায় ,
করেছে অবিসংবাদিত বাঙালি !
ছেষট্রির ছয় দফায় ধুমকেতু হলে তুমি ,
সত্তরে বিস্ফোরিত হলে সারা বাংলায় !
একাত্তরের সাত'ই মার্চ
সন্তাণ থেকে জনক !
রেসকোর্সের বুকে স্থাপন করলে
স্বাধীনতার ভিত্তি প্রস্তর !
তোমার সন্তানের জন্যে,
তোমার ভূখন্ডের জন্যে,
আবারও শৃঙ্খলিত হলে !
আবারও আবদ্ধ হলে পেৈশাচিক কারায় !
তোমার প্রয়োজনে পিতা !
শুধু তোমার প্রয়োজনে ,
দুশো ছেষট্রি দিন রক্ত ঝরালো
তোমার পবিত্র সন্তাণেরা !
তারপর অসূরের অবশিষ্ট আত্বসমর্পণ ;
তোমাকে পেলাম ,
তোমার ভালোবাসার মানচিত্র পেলাম !
যখন তুমি দগ্ধ কাননের শুশ্র্রষায়
নিয়োজিত করলে নিজেকে , তখন !
ঠিক তখোনি কালো শকুণেরা
অশনি সংকেত জানালো তোমায় !
পনের'ই আগষ্ট উনিশশো পচাত্তর !
তব জীবনের শেষ ভোর হলো !
নর পশুদের নখরে রক্তাক্ত হলে তুমি !
রক্তাক্ত হলো -
নক্ষত্রের মতো রাসেল ! তোমার বংশধর !
আর আমার এক বুক সবুজ মানচিত্র !
তোমার এক জীবন নিঃশ্বাস আর
এক বুক রক্ত উপঢৌকন দিয়ে ,
ঋণ মুক্ত হলে বাঙালির !
তোমাকে হত্যা করে,
টুঙ্গিপাড়ার মানুষটিকে - সেখানেই পাঠানো হলো !
পশুরা ভেবেছিলো -ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায়,
সাড়ে তিন হাত মাটির বুকে পুঁতে রাখলেই সবশেষ !
ওরা ভাবেনি - বাংলার মাটি
আর সারা বাঙালির বুকে -
শাশ্বত জনকের বাস ,অচ্ছেদ্ধ বন্ধন !
তোমার অনুপস্থিতে পিতা
অন্ধ হলো জননী !
অন্ধকার হলো
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল মানচিত্র !