এইতো সেদিন-
কত দিন যেন হয়ে গেল মনে হয়
কয়েক কোটি ভ্রূণের সাথে ছুটেছিলাম
কোন এক চরিত্রের খোঁজে-হয়ে অন্তর্যামী
প্রকৃতির নিয়মে-বাধাহীন পথে গন্তব্য বিমুখতায় থামি।
ধীরে ধীরে বাড়ে বেলা-বাড়ে কাল
অন্ধকার এক গুহায় জীব সঞ্চালন বহাল।
জ্ঞানহীন জীব, জ্ঞানহীন দেহ
বাড়ছি একাই, না দেখছে কেহ।
নিয়তি কি তাই?-নিয়তির তরে-
খসে পড়ি একদিন হঠাৎ-আলো হয়ে ঘরে।
বিমূর্ত চিৎকারে কি যেন বলেছিলাম সব
চমকিত কণ্ঠে করেছিলাম-বিদীর্ণ কলরব।
সেই থেকে ধীরে ধীরে খুবই ধীরে
জীবন পথে চলি বিস্তীর্ণতায় ঘিরে।
এই পথ আমার। যেখানে আমি একা
একা আমার শ্বাস-প্রশ্বাস, একাই সব দেখা।


এইতো সেদিনের কথা-
কোন এক ভোরে কুয়াশা দেখে লেগেছিল ভয়
আকাশ ভেঙে নেমেছিল শ্রাবণ- সৌরভ স্নিগ্ধতাময়।
সূর্যাস্তের পর আরেক সূর্য গগনে উঠিল যবে
চন্দ্র বলিয়া ডাকিলেম তারে আন্দলিত রবে।
ধীরে ধীরে বাড়ে বেলা-বাড়ে কাল
জীবন হয়ে ওঠে রঙিন, দেখে প্রকৃতির হাল।
আজো হাঁটছি সেই পথে-সংকীর্ণতার পথ
যেখানে অতীত নিষ্ফল-বর্তমানই সব
ভবিষ্যৎ নিতান্তই অজানা কণ্ঠে-বিদীর্ণ কলরব।


এইতো এসে পরেছি-
এসে পরেছি হয়তো সেই ঘাসের দেশে
অন্ধকারে। যেখানে ছিলেম পূর্বে ভ্রূণের বেশে।
প্রকৃতির নিয়মে, ভিন্ন এক স্থানে
ঘাস হবো নয়তো কোন বৃক্ষ, তাহা কে জানে?
নিয়তি কি তাই?- নিয়তির তরে
থাকিতে হবে অন্ধকার এক ঘরে?
যেখানে আমি একা, একাই যেন সব
সঙ্গী হয়ে রবে শুধু- বিদীর্ণ কলরব।।।