আরাধনায় বিনিদ্র রজনী জেগেছি নিরঙ্কুশ প্রেমাভায়।
হাজার স্বপ্নে আঁতকে উঠেছি অন্তরঙ্গ চুমায়।
সুবিচ্ছিন ধ্যান- সাধনা করেছি প্রবল নেশায়।
অতঃপর বৃন্দাবন ভস্ম হয়েছে নিঃস্বরূপে বিলীন করেছি ভাটায়।
অজেয় পরিকল্পনায় করেছি আশ্চর্য উপাক্ষানে যত অবাস্তবতা।
বিমূর্ততা ও কাব্যিক আবহের শৈল্পিকতায়
লিখেছি মায়ার কাব্যকথা।
আয়না ধরে আত্মকথন করেছি ক্ষণগুনে চন্দ্রিমায়।
নৈঃসঙ্গ্য চিৎকারে সংলাপ বির্সজন দিয়েছি ধোঁয়াচ্ছন্ন সীমানায়।
প্রতি প্রহরে বিষের নগরে হেসেছি লুকোচুরি খেলাচ্ছলে।
হীমালয়ে দৃষ্টি নাচিয়ে ভেসেছি চোখের জলে।
প্রফুল্ল বৃষ্টিতে ভিজে টাঙ্গিয়েছি গলে মূর্তিমান যন্ত্রণার ছবি।
বিবর্ণ ক্যানভাসে মৃত্যু পুষে করেছি মায়ার দাবি।
নিরন্তর বাসনা, কামনা, কল্পনায় লুফে নিয়েছি বহুরূপী সুখ।
অনিঃশেষ সারথি তো দেখেনি কখনো তার মায়ামাখা মুখ।