(আবরার ফাহাদ।বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মেধাবী ছাত্র। ০৭/১০/২০১৯ তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।তাকে উত্সর্গ করেই কবিতা টা লিখলাম।)


আত্মার আকুতি
             - শরীফ আহমেদ


আমি আবরার,
সাক্ষী হয়ে আছি এক নির্মম হত্যার।।


বেশি কিছু নয়,
দুদিন আগে লিখেছিলাম আকুতি এই আত্মার
যখন জ্বালায় সহ্য করতে পারছি না আর,
ভু-স্বর্গ কাশ্মীর বোমার আগুনে জ্বলে,
আমার ভাইয়েরা সেথায় সহে অসহ্য অত্যাচার।।
তাই আজ-
আমি আবরার,
সাক্ষী হয়ে আছি এক নির্মম হত্যার।।


পারছি না সহ্য করতে, পারছি না করতে প্রতিকার,
দেশের মানুষের চামড়া কাঁচামাল হচ্ছে বিদেশিদের পাদুকার।।
প্রতিকার তো করতে পারছি না,তাই লিখেছি আবার,
ফেণী নদীর পানি, দেশের গ্যাস দেশেই রাখার,
মংলা বন্দরের ব্যবহার,এ সবই দেশের মানুষের অধিকার।।
শুধু বলেছি,তাই আজ-
আমি আবরার,
সাক্ষী হয়ে আছি এক নির্মম হত্যার।।


কেন খুঁজতে গেলাম অধিকার,
হয়ে গেলাম শিবির, দেশদ্রোহী রাজাকার।।
এরপর-
বেধড়ক পেটাল,হাড় গুলো চুরমার,
মাংস গুলো জখম করলো আমার।।
পশু-গুলো আওয়াজ শুনেনি আমার কান্নার,
দেয়াল গুলো শুনেছে, সাক্ষী দিবে বারবার।।
শেষে হত্যা করল আমায়,মেরেই ফেলল ! কি বর্বর !
কি নিচ ওরা, দালাল, অভিশপ্ত, জানোয়ার।।
ছি ! থুথু মারি তাদের মুখ বরাবর,
জীবনটা ভিক্ষাও দেয় নি আমার।।
অবশেষে আজ-
আমি আবরার,
সাক্ষী হয়ে আছি এক নির্মম হত্যার।।


এই যে তবু বলতে এসেছি আবার,
শোনো ভাইয়েরা আমার,
আজ আমি আবরার,
কাল তুমি আবার-
হবে সাক্ষী এক নির্মম হত্যার।।
তার আগে এক হও, বাঁধ হাত,
কর প্রতিকার এই নৃশংসতার।।
জানি রক্ত মাংস আছে সবার,
তোমরাই পারবে যুবক সমাজ, এ নহে কোনো পারাবার,
শুধু উপেক্ষা কর আছে যত ডর।।
দেখিবে পেয়েছ ফিরে হাজারো আবরার,
যারা সাক্ষী হত হাজারো নির্মম হত্যার।।
আফসোস করি না আমি আমার মরার,
বঞ্চিত না হয় যেন মোর ভাইয়ের অধিকার,
পরিশেষে এটাই মিনতি মোর আত্মার।।
আর যেন কেউ বলতে না পারে-
সাক্ষী হয়ে আছি এক নির্মম হত্যার।।


ওপারে ভাল থাকবে আবকার, দোয়া করি।)
বি.দ্রব যদি কবিতা টা কেউ আ বৃতি করে এই পোস্ট সাথে অ্যাঁ করে দিতেন খুব ভাল হতো।