আমি মানুষ-
আমি মানবতার দোহাই দিয়ে- উড়াই রঙ্গিন ফানুস!
আমি বারূদ দেগে রক্ত চোখে দেখাই সুখের স্বপ্ন;
       নির্বিচারে মানুষ মারি- মানবতার জন্য!
আমি কাটা তারের জাল বিছিয়ে জাত করেছি ভিন্ন;
       সাদা-কালোর বিষ ছড়িয়ে করেছি শান্তি বিপন্ন।
আমি স্রষ্টার রূপে, সৃষ্টির নামে- গড়েছি শুধুই ধ্বংস;
আমি মৃত্যুর মাঝে উল্লাস করা শ্বাপদের চেয়ে হিংস্র!


আমি ধর্মের নামে অধর্মকেই বেছে নিয়েছি সঙ্গী
আমি মিথ্যার জালে সত্য খোঁজা- যমদূত রূপ জঙ্গি;
আমি রাক্ষস রূপ, রুদ্র মূর্তি, ধ্বংস দেবীর পূজারী
আমি ক্ষুধার রাজ্যে অগ্নি দৃষ্টে- ভষ্মেছি ভুখা অনাহারী;
আমি হিংসার বানে প্লাবন ডেকে ডুবিয়েছি এই ধরণী
আমি আর্তের মাঝে মিসাইল দাগা ক্রুশ বিদ্ধ তরণী!


আমি মসজিদ গড়ি, মন্দির গড়ি, করি ইবাদত অর্চন;
       হৃদয় মাঝে গড়িনা কভুও মানবতার সিংহাসন।
আমি স্বার্থের বিষে অন্ধ হয়ে করি ঈশ্বর বিভাজন;
       আপনার খুনে রাঙ্গিয়ে দু-হাত করি যজ্ঞের আয়োজন।
আমি মানুষ রূপী অমানুষ হয়ে করি মানবতা লুণ্ঠন;
       ধরনীর বুকে ধ্বংস লীলায় সব সীমা করি লঙ্ঘন!


আমি অমানুষ-
আমি ধ্বংসের মাঝে ধ্বংস, আমি হিংস্রের চেয়ে হিংস্র!
আমি নরভুক, আমি মাংসাশী, আমি সৃষ্টির লজ্জা;
আমি রক্তের বাণে রঞ্জিত করি- দেবতার ভীম সজ্জা।
আমি অনাচারী, আমি শাণিত করি- বিধাতার ক্রোধ দৃষ্টি;
আমি মর্ত্যের বুকে ঘোর পাপী এক- অভিশপ্ত সৃষ্টি!