হঠাৎ সেদিন বিকেল বেলা পাশের বাড়ির পুটি,
চোখের কোনায় জল ভরা তার দৌড়ে গেলো ছুটি।
শুধাই কত কি হয়েছে বলল না যে কিছু,
কৌতুহলে দৌড়ে গেলাম তারই পিছু পিছু।


ঘরের ভেতর ঢুকেই পুটি আটকে দিলো দোর,
খুলতে গিয়েও পারিনি যে যতই করি জোর।
পাগল হয়ে ছোটাছুটি করছে পুটির মায়,
আদরের ধন তার বুঝি আজ প্রাণ বেরিয়ে যায়।


কেউবা আবার ফিসফিসিয়ে বলছে কথা বেশ,
আজ কি পুটি নিজের জীবন নিজেই করল শেষ?
দরজা ভেঙে ঢুকে ঘরে উঠল চেঁচিয়ে,
দেখলো পুটি ঝুলছে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে।


খুব আদরের মেয়ে তাদের কার কাছে যে কই,
মাটিতে যে তার দেহটা পড়ে কি করে তা সই।
পারছি না যে সইতে আমি পাশের বাড়ির লোক,
পুটির মা যে কেমন  করে ভুলবে এমন শোক।


যার কারণে মরলি রে তুই করলি জীবন শেষ,
তোরে ছাড়া সারাজীবন থাকবে সুখে বেশ।
বাবা -মায়ের স্নেহ,আদর ভালোবাসা ফেলি,
স্বার্থপর এক ছেলের কারণ সবই ভুলে গেলি?


মিথ্যে আশায়,ভালোবাসায় করেছে যে বিয়ে,
তাই বলে কি মরবি রে তুই গলায় দড়ি দিয়ে?
তোর বিরহে কাঁদবে না তো কেউ যে ধুঁকে ধুঁকে,
শূন্যতাটা থাকবে শুধু বাবা- মায়ের বুকে।।