পূর্ব পাড়ার পরেশ বাবু কথায় কথায় রাগে,
পেট ভরা তার বদবুদ্ধি জানত না কেউ আগে।
মাঝে মাঝে মিষ্টি করে একটু খানি হাসে,
সারাক্ষণই ব্যস্ত থাকে আপন জনার নাশে।


চায়না ভালো কারো সে যে ফন্দি শুধু আটে,
ক্ষতি করে ভাবটা নিয়ে চলে দারুণ ঠাঁটে।
বউখানাও দারুণ পেলো বদ যে তারই মত,
অন্যজনা করতে ক্ষতি সদাই অবিরত।


এবার বলি আসল কথা এই যে কদিন আগে,
বাপটা যে তার হাসপাতালে রাতটা পাশে জাগে।
সুযোগ মত দলিল করে নেয় যে গোপন খামে,
মরার আগে জমি তুমি দাও যে আমার নামে।


বাধ্য হয়ে একটা পাহি লিখল বাবা যেই,
ছলচাতুরী করে নিল সব জমিটা-কেই।
জানল না যে অধম বাবা সবটা লিখে নিল,
অন্য দু'জন ভাইটাকে যে বড্ডো ফাঁকি দিল।


জানত নাতো কেউ যে এটা জানত শুধু মা,
ছোট ছেলের পক্ষ নিয়ে বলত কিছু না।
অজানাতে মেঝো ছেলে করল বাড়ি ঘর,
বলল না যে তখন কেউ-ই অন্যে বাড়ি কর।


স্বপ্ন নিয়ে করল বাড়ি বাবার আপন ভীটে,
জানত কে আর তখন তাদের মন খেয়েছে কিটে।
বাড়ী করার সময় যদি বলত কিছু তাও,
এতগুলো অর্থ কড়ি উড়াত না ফাও।


দর্শকের-ই মত তখন দেখছে সবে মিলে,
ভাবছে তখন কর্ রে বাড়ী সবটা খাবো গিলে।
বাড়ি করে দিলাম তোদের সব ফুরাবে দুখ,
বলল তোদের কাজে লাগাস এটাই আমার সুখ।


থাকতে গিয়ে পরেশ বাবুর লোভ বেঁধেছে বুকে,
ভাবল মনে ফাঁকি দিয়ে একাই রবো সুখে।
বউয়ের সাথে বুদ্ধি করে দাদার দেবে বাঁশ,
এতদিনের গোপন কথা করল ননদ ফাঁস।


জমি,বাড়ী সবই আমার নয়ত এখন তোর,
যা বেরিয়ে নয়ত আমি করব তোদের জোর,
এমন কথা শুনে নরেশ শিশুর মত কাঁদে,
অন্যদিকে আপন মা, ভাই স্বপন বুকে বাঁধে।


হতাশ হয়ে পড়ল এখন বাবার ভিটে মাটি,
ফাঁকি দিয়ে সবটা নিয়ে মনটা দিল কাঁটি।
বিশ্বাসেতে পড়ল ধরা নরেশ বাবুর মন,
মা ও এখন ভাইয়ের মত দূরের-ই একজন।


আপন মা-ও পক্ষ গোনে ছোট ছেলের দিক,
খোঁজ নিলোনা অন্য দু'ভাই আছে কিনা ঠিক।
আপন  ভাইয়ের ফাঁকি দিয়ে কষ্ট দিলে বুকে,
অভিশাপের চিতায় জ্বলে মরবে ধুঁকে ধুঁকে।