রাতদুপুরে স্বামী আমার ডাকল আদর করে,
ডাকটি শুনে প্রাণের মাঝে উঠলো সোহাগ ভরে।
মধুর সুরে ডাকটি শুনে গেলাম তাড়াহুড়ায়,
প্রবল বেগে যেমনি চলে লাগাম বিহীন ঘুড়ায়।


স্বামীর খুশি দেখে আমি খুশি হলাম খুব,
শীতের সময় দেয় যেমনি গরম জলে ডুব।
বাইরে যেতেই মস্তবড়ো ব্যাগটা দিলো হাতে,
অবাক হলাম কি জানি কি আনলো গভীর রাতে।


বলল হেসে, দেখো দারুণ মাছ এনেছি আজ,
দেখলে তোমার কপাল থেকে উঠবে সুখের ভাঁজ।
স্বামী আমার লাইক করে বোয়াল মাছের পেটি,
এই ভেবেছি আনলো বুঝি অধিক দামে সেটি।


সাতপাঁচ না ভেবে তাই ব্যাগে দিলাম উঁকি,
কৌতুহলে যেমনি দ্যাখে ছোট্ট খোকা-খুকি।
ব্যাগটা ধরে যেই ঢেলেছি গামলাখানার পর,
মোচড় দিয়ে উঠল বুকে কাঁপছি থরোথর।


রাতদুপুরে কেজি দশেক গুড়ো মাছের ছাও,
সস্তা পেয়ে এলাম নিয়ে রান্না করে দাও।
বলে দিলাম, এসো কাটি আজকে সারা রাত,
সকাল হলে রান্না করে দেবো তোমার পাত।


ভেবেছো কি এমন সাজা চাপিয়ে মাথার পর,
ঘুমিয়ে যাবে আয়েশ করে আটকে দিয়ে ঘর।
সোনা আমার যাদু এসে বসো আমার পাশ,
হাতে হাতে কাটলে সুখে থাকবো বারো মাস।