কোথা ছিলো এত আঁধার ?
দেখিনিতো কখনো আগে
জ্যোতিষ্কলোকের উজ্জ্বল ছায়াপথে
এ নীল গ্রহে !
কোথা হতে এলো এত এত বিষ ?
এত মৃত্যুর ঘন কালো ছায়া
সবুজ বনানী ঘেরা এ সাগর পাড়ে !
কোন মন্থনে উঠলো এ ঢেউ সফেন ?
এত বিভীষিকা-ময় আর্তনাদ !
কোন জরায়ু পথ বেয়ে নেমে এলো
ধ্বংসের নির্মম অশনি সংকেত ?
এত আত্মাহুতির প্রহর !
এ স্বপ্নের নীড়ে দুঃস্বপ্নেরা দেয় আজ উঁকি
আসে পূর্ণিমা তারা খসার গল্প বুকেতে আঁকি !
জোছনারা সব ভুলেছে পথ !
শুনিনা বহু দিন পাখিদের কুজন্ !
এ বসন্তে ডাকেনি কোকিল
লাগেনি রঙের দোলা পলাশের ডালে
উড়িয়েছে শুধু ধূলি মৃত্যুর সে রথ !
কণ্ঠ-চাপা কান্নায় থেমে গেছে কত
হৃদয়ের স্পন্দন |
কেহ কি চেয়েছিল কভু এমন বিদায়
যেথায় সাক্ষী নাই কোনো পরিজন !
অবাক স্মৃতির দৃশ্য পটে
রইলেম শুধুই নির্বাক দর্শক হয়ে ,
চোখেরও জল শুকিয়েছে কত অশ্রুদ্বারে |
জানিনা আরো কত বিস্ময় আছে লুকানো
অদৃষ্টের জঠরে !