সময়ের জ্বলন্ত জ্বালামুখ দিয়ে  
মিথ্যার উত্তাপে ফুটন্ত লাভায় সত্যের নির্মম বিসর্জন  !
প্রাণ নাশের  রক্ত চক্ষুর হাতছানি দিয়ে
গা ঘেঁষে চলে গেলো এক দল রাক্ষুসে হায়না !
স্বপ্ন দেখার রাত্রিতেও ঘুম ভাঙে দুঃস্বপ্নের শিখর চূড়ায় !
তার পর বিনিদ্র রজনী শেষে চেয়ে দেখি
এক দল শোষক শুষে নিচ্ছে প্রভাত রবির সব রক্তিম আভা !
আঁধারের বক্ষ চিরে কানে আসছে কালের অট্ট হাসি!
হারিয়ে যেতে দেখলাম এক দল পরিযায়ী পাখিকে
মত্ত আকাশে ঘন কালো মেঘেদের দানব নৃত্যের উচ্ছাসে !
রিক্ত শিমুলের পত্রহীন শাখা-প্রশাখা ঝরতে দেখলাম তুফানী চুম্বনে !
ক্ষুধাতুর শিশুর মুখের খাবার কেড়ে নিলো একটি
মিসকালো কাক !
হাজারো শকুন উড়ে এলো গৃহদ্বারে ভাগাড় ছেড়ে !
জ্বলন্ত চিতার সর্বগ্রাসী আগুনে ঝলসানো তাজা তাজা মাংসপিণ্ড উপভোগ করছে বন্য শেয়ালের দল !
কঙ্কালসার চেহারা নিয়ে আজ এই মৃত্যু উপত্যকায়
উইপোকার পিরামিড এড়িয়ে চলা দায় !


তবুও তার মাঝে
আমার দখিন জানালার পাশে
নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকা পলাশ ডালে গুটিসুটি মেরে
বসে আছে একটি কোকিল ,
এই শ্মশানের বুকে আরো লক্ষ-কোটি ভরা বসন্তে
গান শোনানোর অপেক্ষায় !