হে নেতা,
তুমি এমন দেশ খানা চেয়েছিলে?
যেথায় অন্যায় আর দোষারপের পাল্লা চলে!
তোমার স্বপ্ন আজ,
ধর্ষিতার রক্তাত আচলে পোঁতা।
মায়ের চোখের বৃথা জলের স্বাদ নোনতা!


হে শিল্পী,
তুমি কেমন সমাজের ছবি এঁকেছিলে?
যেথায় হিংসা আর বিদ্বেষের অট্টহাসি রোটে?
নাকি যেথায় পিতার মাদকতার গন্ধ মেয়ের গর্ভে থাকে!


হে শ্রেষ্ঠ বাঙালী,
তুমি কাদের কে সোনার মানুষ বলেছিলে?
যারা ধর্ষকের পক্ষে কোমর বেঁধে মাতাল যুক্তি চালে!
এ সমাজের কালো ছবি কি তোমার দু:স্বপ্নেও চলে?


হে দরদী,
তুমি তো অসহায়ের ব্যথায় নির্ঘুম রাত কাটাতে,
আর আজ দেখো-
রাস্তার পাগলীটাও  গর্ভবতী হচ্ছে!
এ কি কালের নির্মম পরিহাস
নাকি দুর্ভাগ্যের দীর্ঘ শ্বাস!


হে রত্ন চাষা,
তোমার বাংলায় কি আর কেবল ই সোনালী ধান জন্মে।
রক্তিম আচল আর ছেড়া কামিজের ভাজে,
হাজারো নোনা গল্পের বিষাক্ত স্বাদ মেশানো থাকে!


হে নেতা মুজিব,
তোমার স্বপ্ন সাথীদের কে বলে দিও-
তাদের ত্যাগের মাতৃভূমি অসুস্থতায় ক্লিষ্ট!


তাদের ঋণ নয় কো শোধের
তাদের স্মরণে প্রার্থনা করতে সময় নাই গো মোদের!