আমার হৃদয় মাঝে মালঞ্চ সাজে,
পুস্পমন্জুরি গন্ধ ঢালে,
তুমি কে আসিলে অমন নিবেদিত প্রাণে?
যারে পেয়েছিলাম বরেন্দ্রভুমির কোনো তৃণলতায়,
আবার হারিয়েছিলাম বিস্তৃত মরু শুষ্কতায়!
মিলিয়ে গিয়েছিলো সে,
বাতাসের ধূলিঝড়ে, উড়ন্ত বালুকার সাথে।
এতদিন কোথা ছিলে?


কোমলতার ছলে, বর্ষার আঁখিজলে,
আমার এই জলে ভরা বিলে!
তুমি গাঙচিল না হয়ে,
কেন শঙ্খনীল বেশে ধরা দিলে?
আশাহীন, ভাষাহীন,
মনের গহীনে
আবার বাজায়ে বীণ।
ভালোবাসার গভীর স্পর্শে
কেন ফিরে এলে?


আমার এই মন যে এখন,
নেই সেই আগের মতন!
যেন ধুলোয় ভরা কোন বইয়ে মলাটে,
ধুসর গোলাটে!
কুয়াশার মত মনের গভীরে,
শত শত ক্ষত স্মৃতির ভীড়ে
ভাঙ্গা বসতি নীড়ে।
কষ্ট যেখানে ক্ষুধা যন্ত্রনায় নিদ্রাহীন রাতে,
শুধু লতাপাতা খায় খুঁটে খুঁটে।
কি করিবে?
ভাত যে মিলে না দু'মুঠে।
এখানে এখন শুধুই অস্পষ্টতায় ভরা
জীর্ণতার ঝরঝরা,
ভাত নেই,
জ্বালানি নেই
বেঁচে থাকার আশা ভরসা কিছু নেই
শুধুই ক্ষুধা, মঙ্গা আর দারিদ্রতার তাড়া,
আমার এই মনে
কেন এলে?


আবার কোন হেঁয়ালির প্রাণে?
মৃগের নাভী আতরের ঘ্রাণে।
আমার বাড়ায়ে আবেগক্ষণ
এইতো! চিনিয়াছে মন।
মনে হয় চিনিতে পেরেছি!
আমি জেনে গেছি!
সে আমারি কাব্যিক মন।
আমার হারানো কাব্যিক মন!
আমি ফিরে পেয়েছি তারে অনেক বর্ষ পরে।
ফিরে পেয়েছি আবার, অনেক কষ্ট বেদনার মাঝে।
সে আমারি মন। আমার হারানো কাব্যিক মন।