এক দল খেলুড়ে শিক্ষিত ডাকাত ছিল
এদের কাছে ছিল বোমা -গুলি- পিস্তল- শটার
আর ঘুষের- ডাকাতির -অনেক কালো টাকা,
এরা গ্রাম শহর রাষ্ট্র ও ধরিত্রীমাতাকে লুঠতে লুঠতে এগিয়ে যাচ্ছিল
আর বার বার জার্সি-পতাকা ইত্যাদি বদলাচ্ছিল,
ওরা মিথ্যে কথা বলছিল,
ওরা চোখ রাঙাচ্ছিল
ওরা প্রতিবাদীদের মেরেও ফেলছিল-
ওরা পুরাণের নারীকে , বাস্তবের দলিতকে
একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছিল,
কিন্তু কায়দা করে তার দোষ চাপাচ্ছিল অন্যদের ওপর।


যখন ঘুর পথে দামী খাবারগুলি আসছিল
তখন তাদের বলবান কুকুরগুলি
ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে রাস্তায় মারামারি করছিলো
তা দেখে শহরের বস্তির উলঙ্গ ছেলেটার হাসি আর ধরে না
সে বললে- ‘তোমরা কুকুরের এঁটো খাও’
ডাকাতরা বলল – ‘আমাদের কাছে কুকুর মানুষ ভাই ভাই’
‘তাছাড়া আমরা মহান-
যারা এসব দেখে ফেলে আমরা তাদেরও ভাগ দিই,
তোমরা নেবে মাংসের টুকরো ?
সঙ্গে পুষ্টিবর্ধক ঝোলও আছে।’


সন্ধ্যার আকাশে বাতাসের হিল্লোলে
বারুদের গন্ধ মিলিয়ে গেলে
এরাই সেজে গুজে সংলাপ মুখস্ত করে আবার নেমেছে
গল্পের যাত্রাপালায় ।
দর্শক সাধারণকে বিভ্রান্ত করতে
সবাই এখন অভিনয় করছে রাজা অথবা ত্রাতার ভূমিকায় ।
আর জ্ঞানবৃদ্ধদের ভিলেন সাজিয়ে
কুশপুত্তলিকা দাহ করছে
হাসছে- ঘুরছে -জয় করছে সপ্ত অমরাবতী।
কিন্তু যখনই বাস্তবের শিশুরা তাদের প্রশ্ন করছে-
বাপুরা, তোমাদের সত্য নেই কেন?
বাপুরা, তোমাদের জাতীয়তাবাদ নেই কেন?
তখনই তাদের লজেন্স দিয়ে, খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


ওরে তোরা ভুলিসনি ভুলিসনি -
ওরে  তোরা কেউ ঘুমুসনি ঘুমুসনি -
বাংলা মায়ের শিশুরা আয়
ভারত মাতার শিশুরা আয়
জগতজোড়া শিশুরা আয়
গল্প নয় তবু গল্পকথা শোন-
একদল খেলুড়ে শিক্ষিত ডাকাত ছিল
এদের কোনো চরিত্র ছিলনা ...
আসলে এদের কোনো হৃদয় ছিলনা...
এদের কোনো দেশ ছিলনা ...
এদের কোনো ধর্ম ছিলনা...


।।   ।।   ।।   ।।   ।।