আগুন রাঙা কৃষ্ণচূড়া
গাছের চূড়ায় শাখে
চৈত্র শেষে বৈশাখ এলো
করবো বরণ তাকে।


গাঁয়ে গন্জে কী আনন্দ
জমবে শখের মেলা,
আনবো কিনে মাটির পুতুল
করবো- সারাটাদিন খেলা।


নাগর দোলায় দুলবো মোরা,
কিনবো বাঁশের বাঁশি,
বৈশাখ এলে গ্রাম বাংলায়
আনন্দ আর হাসি।


কিষানীদের ঘরে ঘরে
নতুন ধানের খুশী,
তাপদাহের ক্লান্তি ভুলে
ধান কেটে যায় চাষী।


বৈশাখ এলে নতুন ধানে
উপচে পড়ে গোলা,
বকেয়া সব পাওনা পেতে
ব্যবসায়ীদের হাল খাতা খোলা।


ঘরে ঘরে কী আনন্দ!
মাতাল তেপান্তের মাঠ,
পালাগানের আসর জমে
গাঁও গেরামের হাট।


বৈশাখটাকে করতে বরণ
ঘরে ঘরে চিতই, ভাঁপা, পাটীসাপটা আর পুলি,
নবান্নের এই মহানন্দে
মোরা- জরা,খরা ভুলি।


ফজলি, লেংড়া, হাড়ীভাংগা
ঝুলছে থোকায় থোকায়,
রঙ বেরঙের ফুল,পাখি আর আল্পনাতে
মন যে ভরে যায়।


লাল পাড়ের সাদা শাড়ি
খোঁপায় গাঁদা নারী,
রঙ-বেরঙের পায়জামা আর পান্জাবীতে
আনন্দ বাহারী!


বৈশাখ যেন নতুন জীবন
সারা বাংলায়- নব প্রানের ঢল,
নতুন করে সাজাই জীবন-
চলরে সবাই, চল!


(উত্সর্গ: বন্ধু-কন্যা,পরম স্নেহাস্পদ অরণ্যকে, ইংরেজীর পাশাপাশি যে বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা করে নিরলস। মূলত: তার প্রয়োজনেই বৈশাখকে নিয়ে একটি ছড়া লিখতে আমি উদ্বুদ্ধ হই।)


লন্ডন
১২ এপ্রিল ২০১৮