ভালবেসেছিলাম তারে
দেখেছিলাম যারে মহুয়ার ছায়াতলে,
সোনালি বালির বিছানায়,
কুটরি নদির তীরে।
দেখেছিলাম যারে...
শ্রাবনের বৃষ্টি ফোটায়, টাক পাহাড়ের আঙিনায়,
হেমন্তের শিশির ভেজা রদ্দুরে, পূর্নিমার জোছনায়।
ফাগুনের স্নিগ্ধ হাওয়ার পরশে ছুঁয়ে ছিল যে আমারে,
দেখেছিলাম তারে দোলের রঙিন ফোয়ারায়।
হৃদয়ে আমার বেজেছিল সেদিন অজানার আগমনি,
ভোরের কুয়াশা যেদিন ছিল সে নীলাম্বরী
আর উড়েছিল পলাশের আঁচল খানি।
ভালোবেসেছিলাম তারে
দেখেছিলাম যারে মহুয়ার ছায়াতলে,
সোনালি বালির বিছানায়,
কুটরি নদির তীরে।
দেখেছিলাম যারে...
নাম না জানা বিথিকায়
সেদিন জেনেছিলাম অজানারে নিরালায়।
যে ছিল সয়নে সপনে, দিবা নিশি জাগরনে,
আজ ও খুজি তারে বারেবারে রাতের উজ্জ্বল নিহারিকায়।
দুরন্তো ঘূর্ণী ঝড়ে, সে ছিল কালবৈশাখীর রাতে,
উচ্ছৃংখল প্লাবনে, সে ছিল নিষ্ঠুর জীবন সমরে।
বলেছিল,আমি তোমারি;তোমারি আমি প্রলয়ে কিংবা চির নিশিতে।
ভালোবেসেছিলাম তারে
দেখেছিলাম যারে মহুয়ার ছায়াতলে,
সোনালি বালির বিছানায়,
কুটরি নদির তীরে।
শুভেন্দু বাগচী