সেদিন চাঁদের হাত ধরতে গিয়ে,
আলোর আঘাতে আমি যেন এক আহত পাখি।
রাত্রিটা বেশ স্বচ্ছ। আকাশের গায়ে অগাধ তারার বিচরণ।  
ওদের মধ্যে যুগলতারাদের প্রেম যেন আমাকে মোহিত করলো।
তারা একে অন্যের পাশা-পাশি-কাছা-কাছি আসতে অক্লান্ত চেষ্টা,
কিন্তু তা হয়ে উঠছে না।
যেন তারা আশ-পড়শি ,কেবল দূর থেকে আলাপন তাদের সান্ত্বনা ।  
ছোট বেলায় নানী-দাদী মুখে বলতে শুনেছি,
তারারা কখনো এক সাথে মিলনে মিলিত হতে পারে না।
সেটাই তাদের আক্ষেপ!
যদি মিলিত হতে পারতো, তবে তা হতো জনসন্মুখে,
আর তা দেখে পৃথিবীতে, যৌনতা হত উন্মুক্ত।


সেদিন আলো-আঁধারে আমি এক সুদর্শন যুবক ,
বাড়ির ছাদে একাকী  অনেকটা রাত অব্দি তারাদের মেলা দেখছি,
বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দটা বেশ কাঁপাচ্ছে। খেয়াল করলাম টিভির
এন্টেনার সাথে বেণীবাঁধা লেইস ফিতার মত ছেঁড়া অডিও ফিতার ক্রন্দন।
আর পিছন থেকে কোনো এক মানবীর নূপুরের রিনিঝিনি আওয়াজ।
আমি ঐ আকাশের দিক  থেকে দৃষ্টি সরিয়ে,
পিছনে তাকাতে চাইলাম। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি।
মুলত  সাহস যোগাতে পারিনি।
হঠাৎ বেলী ফুলের সুবাস এসে ধরা দিলো নাকে,  
না! সেটা  বেলীফুল নয়, বেলীফুল সমৃদ্ধ ফারপিউমের সুবাস।
মুহূর্তটা  সুস্পষ্ট সুখের অনুভূতি,
কাব্যরচণার ক্ষেত্রে এমন উপঢৌকন বেশ কাজে দেয়।
কাব্যের  উপমা বহন করে, বেশ উচ্ছ্বাসিত পূর্বাচলে ।


মনের মাঝে অথৈই সম্ভাবনার পাশ কাটিয়ে আমি পিছু তাকালাম
সাদা অন্ধকারে আমি যেন মুগ্ধ- বিমোহিত তাঁর রূপে।  
কিছুটা সময় নিজে নিজে যেন বোবা বনে গেলাম,
মনের বন্দরে প্রেম ধরা দিতে বুঝি দরকার শুধু একটি মুহূর্ত !!  
কিন্তু সব কিছু বুঝে উঠার আগে, আমি যেন এক আহত পাখি,
যখন দেখলাম তাঁর হাতে মেহেদীর রঙ ! শরীরে সোঁধার সুবাস!
মুহূর্তে  স্তব্দ হলো “হৃদয়ও মন”।