বৃন্দাবনে মালা জপ করছেন ব্রাহ্মণ নিঃশব্দে,একমনে,এক ধ্যানে,
দীন দরিদ্র এক মজুর কাঁশি দিয়ে যাচ্ছেন,মনের দুঃখে,
আচমকাই চমকে উঠলেন,ঐ কে রে?আমার ক্রিয়াকর্ম-যজ্ঞযাগে ভঙ্গ করলি!!
হেনকালে দীন দরিদ্র  ব্রাহ্মণ চরণে এসে করলো প্রণাম,
"ক্ষমা করো প্রভু,প্রার্থনা তব তোমার পদতলে",
তোকে অভিশাপ দিলাম"তুই নিঃসন্তান হবি-
দীন দরিদ্র কিয়দ হাসলো,আমার যে কোন সন্তান নেই প্রভু ,
ব্রাহ্মণ মাটি খুঁড়ে বালুকারাশি ছুঁড়ে দিয়ে আশীর্বাদ করলেন,
দশ সন্তানের জনক হবি তুই,তবে তোর স্ত্রী অনেক কষ্টে তাদের প্রসব করবে।
"হে প্রভু সন্তান যখন দিবে,আমার প্রিয়তমা কে কষ্ট দিয়ে কেন?
চাই না তোমার এমন আশীর্বাদ"!!
অশ্রুজলে,সিক্ত ব্রাহ্মণ বিস্মিত স্ত্রীর প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা দর্শনে ।
নিশিভোরে প্রথম নবজাতকের কান্না শুনে আত্নহারা,ছুটলো ব্রাহ্মণ পানে,
সময়ের ব্যবধানে দশম সন্তানের জনক হয়ে বৃন্দাবনে উপস্থিত,
দেহত্যাগ করলেন মুনি ঠাকুর,দীন মজুর বিহ্বল
হঠাৎ নজর কাড়লো খোদাই করে লেখা,
"দশম সন্তান আমি তোমার স্ত্রীর কোলে,তোমার ভালোবাসার লোভে"।


রচনাকাল
২৬।০৩।২০১৪
ইউ এ ই ।