আমি কবি নই ভাই,সাহিত্যের গগনে এই আমার ছবি,
কবির অকবিত্ত্বে ভায়োরেন্সের ভায়োলিন্ বাজাই সুর করি মনের রবি।
প্রেয়সীকে চিঠিতে লিখি কাব্যের অলংকারে,ভবের ভাবে ডুবিয়ে,
হরেক রকম ভাষার বিন্যাস সাজাই ফুলে,সুতাহীন কন্ঠমাল্য বানিয়ে।
চিঠি পড়ে বৌদি,বোবা হয়ে গেলো,কথার ঝঙ্কারে,শ্বাস ফেলে বারংবার,
হাঁড়ি ভাঙ্গে দাঁতে,অজ্ঞান তাতে,প্রেয়সী কে সুধায় এ কেমন কথার কারবার!!
কি লিখেছে সব,আমার ননদিয়া,চিঠির পাতায় ঘেঁষা ঘেঁষা শব্দ বসিয়ে,
ভাষার বাঁশি,সুরের আড়শি,কথামালায় ভাসিয়ে,কাব্যকে খেলো চুষিয়ে।
প্রেয়সী হাসে চাপা ঠোঁটে,মনের রাজ্যে খুশিতে উঠলো মহাঝড়,
আমি নাকি প্রাণের কবি, মনের রবি, এই জগতে তার প্রিয় নর।
এক দিন এক চিঠি এলো,রঙ্গিন খামে, চিঠিতে উচ্ছাসের প্রেম ভরপুর,
সাহিতেকে চুবালো কথার বানে,ক্ষ্যাপা মন ভিড়ালো নোঙ্গর,তার মনের অচিনপুর।
বার্তাকু মনে,এক প্রভাতের আলোয় ভিগিভিগি চুলে,ছুটে এসে বললো কানে কানে,
নতুন অতিথি আসছে ঘরে,খুশিতে চাঁদ মূর্তিমতী দুটি মনের উপবনে।


রচনাকাল
০২।০৪।২০১৪
ইউ এ ই।