জীবন টা মাইনাস ত্রিশে দাঁড়িয়েছে,প্রবাস ঘরে,সময়ের আকাঁবাঁকা গলি গুলো,
দারুণ দ্বন্দরণে মাতে,কখন সঠান পায়ে দাঁড়াবো,নিজের মত করে।
প্রভাতের রবির আলোয় বেড়িয়ে পড়ি,উদার গিরির শিখরে অর্থ আয়ে,
ক্লান্তহৃদয়ে যখন,ভ্রান্ত পথিক,গোধলীর আলোয় ফিরি গৃহপানে ।
আর ভালো লাগে না সংকটছায়াশঙ্কিল, পিচ্ছল ঘনপঙ্কিল সময়,
বঙ্কিম দুরগম পথ একাই হেঁটেছি কত দূর,আজ যে বড়ই পরিশ্রান্ত।
সাধ জাগে মনে,একটা টিয়ে পাখি আনবো ঘরে,আদর করে পোষ মানাবো,
বক্ষ সুখের তীব্র তপ্ত দীপ্ত নেশায়,ফোটাবো কলি থেকে অলি।
স্বপ্নের সিঁথিতে সিঁদুর মাখি,বিরামহীন রঙিন রঙের খেলায়,গভীর সুরে,
হাতে মেহেদী রঙে কোন রূপসী সেজে আসবে আমার আঙিনায়,অপেক্ষা নই,
নীরব বীণায় সুর তুলে,শূন্য গগনে নীলনির্মল আনন্দে উড়াল দিলাম,
অঙ্গে অঙ্গে অমৃতবৃষ্টির পরশতরঙ্গ খেলছে, চার বছর পর মাকে  দেখবো,
মমতার আঁচল তলে সে কি শান্তির পরশ !!খুশির বানে যাচ্ছে দিন ...
চব্বিশে সেপ্টেম্বর,বাহুবন্ধন করে নিলো অন্তরজয়ী এক মায়াবিনী,মন্ত্র মুখে,
ডাগর চোখের, নব রূপে রূপময়ী,আমার হৃদয়ের রুম্পা রানী ,
ভরা আনন্দে,অন্তরমাঝে আর ধরে না সুখের মায়ামুরতি ভালোবাসা ।
জ্বেলে দিয়ে স্বপ্নের প্রদীপ,মনমন্দিরতলে অর্ধনিশীথে সুখের গীতঝংকারে,
দু'মাস পর ফিরে এলাম নিদারুণ কষ্টে, বিদায়ের সুরের মূর্ছনাভরে,
ব্যথার বীণাযন্ত্রে প্রবাসে আমি ।


রচনাকাল
০৫।০৪।২০১৪
ইউ এ ই ।