শান বাঁধা ঘাটে,মুচকি হাসলো,পল্লীবধু লাজেবাঁধা ইশারায়,
রূপের উপমায় ঘেরা অধরের তেপান্তর,ঢেউ খেলে মোহনায়।
আঁখির সাগরে টলমল করে করে পল,গুপ্ত প্রেমের কবল,
কলঙ্কের কালির ভয় নেই আজ,পড়েছে দেবর প্রেমে প্রবল।
দেবর,কাগজের পাতায়,লিখতো চিঠি,কত নতুন শব্দ,বর্ণ দিয়ে,
ভাষার টোপে ঘাঁয় পরেছে,মনের আবেগ,স্বপ্ন দেখে তাকে নিয়ে।
কথার ছলে বধু অমৃতবৃষ্টিতে ভাসে,পরশরসতরঙ্গের ঠিকানায়,
অঙ্গে অঙ্গে কিরণবসন সাজায়,রঙিন চশমায়,প্রদীপ্ত বাসনায়।
চঞ্চল মনে নিত্যমিলনে,বক্ষোবীণায় আবেদনে সাড়া দেয়,
হৃদয় লুটে পরশপাত্রে গীতঝংকারে দেবর তাচ্ছিল্যের রূপ দেখায়।
ভুলের কাঁটা বিঁধলো পায়ে,ধুলোমাখা সম্ভ্রমে,ক্লান্তহৃদয় তোলপাড়,
চিন্তায় মগ্ন ত্যাজিবে জীবন,এই সংসার অসাড়,নারীত্ত যে ছারখার।


রচনাকাল
০৭।০৪।২০১৪
ইউ এ ই।