হে প্রভু
তুমি বিশ্ব বিধাতা,জগতের পিতা,
সকল জীবের চোখের মধ্য মনি,
তোমার নাম জপে পাই শান্তির
পরশ,মনে তোমার আলোর খনি।


সূর্য্য দিয়েছ, চন্দ্র দিয়েছ, জগত
সংসারে, আলোর প্রদীপ  জ্বেলে,
দুর্দ্দম প্রাণে  হর্দ্দম্ শ্বাস, মন্থন
করে, কুর্ণিশ তোমার চরণ তলে।


গৃহহারা পথিকের আলোর মশাল
ত্রিশূল, উজ্জ্বল প্রভঞ্জনের উচ্ছাস
তোমার সৃষ্টি ঊর্মির হিন্দোল,বহে
ছল ছল, ষোড়শীর হৃদি প্রশ্বাস।


শ্যামলিমা ধরনীর রূপ,মায়ের
আঁচল,প্রিয়ার কাঁকন-চুড়ি ঝনঝন,
পল্লীবালার সিঁথিঁর সিঁদুর,রাখালিয়ার
উন্মাদনা সুর,উষ্ণতা কণকণ।


তুমি বালিকার এলোকেশি চুলের
অকাল-বৈশাখীর ঝড়,মহাপ্লাবণ,
বিশ্ব বেঁধেছো,সুতাহীন মাল্যতে,
চুমকি আঁকা ঠোঁটে,নিশ্চল আবরণ।


মেঘলাদিনে ঝড়ের মাঠে,মুখপটে,
শ্যামা মেয়ের আষাঢ়ি হরিণ চোখ,
লহরীর বুকে লহরী তুমি,রবির
কিরণে, ঝলমলে  মহাসাগরের বুক।


বিধবার মুখে প্রভাতপাখির গান,
জগৎ ভুলানো, স্রোতে ভাসা  শিখর,
রামধনু-আঁকা পশ্চিমাকাশে,হাসে
খলখল,কী জানি প্লাবিয়াহবে নিথর।


তুমি মালিক,বিশ্ব-বিধাতা, ধরিত্রীর
বুকে,পরিপূর্ণ ভরা নদী ক্ষুরধারা,
প্রাণের পেয়ালা,শাসন-ত্রাসন সংহার,
বন্ধন,তোমায়,কুর্ণিশ পরম্পরা।


                                                          


রচনাকাল                                                        
১০।০৪।২০১৪
ইউ এ ই।