ও চাঁদ তুমি  সরে যাও,লাজুক প্রিয়ার মুখ  থেকে,স্বাগত তব সন্ধ্য  শাঁখে,
আমি লিখব,মনের কথা,রূপ দেখে তার,যৌবন গাঙ্গে নক্সী-কাঁথার বাঁকে।
ও প্রিয়া......
আমি  যখন লিখছি চিঠি  তোমায় দিবো  বলে, রঙ্গিন প্রজাপতির পাখায়,
সাজছো তুমি  ঠোঁটে লিপিষ্টিক, দিয়ে আলতা রাঙ্গা পায়ে,মিষ্টি জোছনায়।
আকাশ ভরা তারার  মেলা  কাটে  নিশি, কেবল  তোমায়  ভেবে   ভেবে,
অক্ষরের পর  অক্ষর সাজাই,চিঠির গায়ে, ভেসে যাই  উষ্ণতায় অনুভবে।
লাইন  গুলো আজ আঁকাবাঁকা,ঢেউ তুলেছে,ক্ষুৎপিপাসায়,হৃদপিণ্ড জর্জরে
মেহেদী'র  হাত  দু'খানায়, সং সেজেছো, তৃষাতুরা,ধূসর  গৈরিক নির্জরে।
শব্দ  সাজাই, চিঠির  রূপ সাজাতে, পরশ মেখে, মোলায়েম সূবর্ণ শৃঙ্খলে,
লাজে বস্ত্র দিয়ে  ঢেকে রেখেছো,ঐ মুখ খানা,ভাঁজ করা হিমগিরি অঞ্চলে।
ঝিকিমিকি আঁখির ঝলক দেখি, ঝিলিকের মত,চিঠির ভাষা যাই যে ভুলে,
শুষ্কত্বকের,সুবাস মাখি কলমের কালিতে,খোঁপায় চাষ করেছ বেলি ফুলে।
আজ  আর নই চিঠিতে  কথা, ভাষার  জোয়ারে  লিখবো অন্য  কোন দিন,
প্রেমবরিষার  স্রোতে   ভাসিয়ে  দিলাম, মনের কথা, জীবন করবো রঙ্গিন।


                                                                             ইতি
                                                                           শি >> রু


রচনাকাল
১১।০৪।২০১৪
ইউ এ ই।