রুম্পা'র হলুদ শাড়ির আঁচল উড়ায় এলোকেশি চুলে,
উদ্দাম ধ্বনি মুখরিত,নববর্ষের  প্রথম পলে।
চৈত্র গেলো,বৈশাখ এলো,জীবনের ময়দানে,
নুপুর বাজে ঝুনঝুনা-ঝুন,পাখির কাকলির কলতানে।
উৎসবের আজ মর্মরধ্বনি, শাখায়,শাখায় তরুপল্লবে,
কপালে টিপ রেখেছে রূপায়নে হলুদিয়া মনে।
কন্ঠে পড়েছে মুক্তার  মালা, বসেছে-পূজারিণী,
ধুপের ধোঁয়া,ঘূর্ণিবায়ু দীপ্তি ঝলকে,আমার সোহাগিনী।
মালা গেঁথেছে,বিনে সুতায়,অপরূপ  রূপের মায়াবিনী,
পড়াবে বলে মোর গলে, আমার স্নেহাষিনী।
সুরভিতে  মেতেছে  আজ  উল্লাসিয়া  প্রাণে,
অভ্রভেদী মেঘের ঝাপসা,আমি বিহনে,শুষ্ক আলাপনে।
অশ্রু ঝড়ায়,দরদী প্রিয়া,গোপনে ফেলে,দুর্ভাগিনী শ্বাস,
দৃষ্টি তাঁর বড়ই তীক্ষ্ণ,গম্ভীর,হৃদি-পুরে বাস।
স্নিগ্ধ রাঙা প্রীতির টানে,নোঙ্গর ভিড়ালো তীরে,
ভালোবাসার নাও ভাসিয়ে,দেহমনে এলো আমার নীড়ে।


রচনাকাল
১৪।০০৪।২০১৪
১লা বৈশাখ-১৪২১
ইউ এ ই ।