কাঁদনে বাঁধন জুড়তে চাই শিশু বালিকা নবজাতক,
মায়ার নোঙর তোলে, সদ্যপ্রসুত মায়ামুরতির ভুবনে-
ওরে কে এলো রে ... ?
তোমার নাতনী গো,ঠাকুমা  তোমার নাতনী".....
ধেৎ ছাই!!!মাদুর-ভরা, প্রদীপ-আলো-গুলো নিভিয়ে দে",
প্রসুতির বুকে মধুর খুশি,
ঠাকুমার মুখে হরষের হাসি অভিমানে,গা জ্বলে যায়,
বাবার অনাদরে,শিশু বালিকার জীবন ব্যাকরণ বুঝি,
অশ্রুধারা জননীর চোখের শৈবাল।
শিশুর বালিকার প্রাণে চঞ্চলতা মশি,
অবহেলা যাতনায় কাঁদছে উতরোল শশি,
শিশিরে লুকানো আঁখিজল,যেন দুরুদুরু বুকে
অশ্রুহাসি বানী,এ যে বড় তীব্র কষ্টের!!
যৌবনে ফোটা ফুলে,পুরুষ শাসিত সমাজে,
রূপ নিল ভয় আর সঙ্কোচের,আত্নরক্ষার
লাজেবাঁধা অঙ্গে যেন আচড় না পড়ে ,
টুটে  যেন না যায় মাটির সম্মানের হাড়ি।
রঙিন মেঘের মতো সোহাগে তচনচ করতে চায়
যৌবন,স্বামীর ঘরে,পতি বাহুবন্ধনে,
মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে,
আপন কে পর-পর কে আপন এ যে দুনিয়ার রীতিনীতি,
বিদায়ের কষ্টের শূন্যতা তড়িৎ দেয়, আঁখির সিন্ধুজলে নারী'র।
স্বামী সোহাগে সোহাগিনী হলেও পান থেকে
চুন খসলে বন্যাধারায় কাঁদায় মেঘঅশ্রু,
স্বামী সংসারে কিছু তুফান-তেজি,শাশুড়ি,
ননদীর কুরঙ্গী মন কষ্টে ভেজা চোরাবালিচর।
এ যে বড় কষ্টের,বেদনার,নারী'র নীল প্রজাপতির ডানা ।
নতুন ফুল ফোটাতে হবে,উত্তরসুরি,বংশ রক্ষার তাগিদে,
সংসার গুছিয়ে,দশ মাস দশ নারী নারীত্ত লাভে,
প্রসব বেদনায় অস্থির,জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে,
এযেন নারী'র নিদারুণ কষ্টের সমাহার,আজকের সমাজ সংসারে ।


রচনাকাল
২১।০৪।২০১৪
ইউ এ ই ।