রঙিন  প্রজাপতি  মেলছে  ডানা সবুজ  রাঙ্গা ঘাসে,
জগৎখানি  আলোয়  ভরা,সুখ-দুঃখের চেনা তাসে।
নধর  কালো  মাকড়সাগুলো  বুনেছে বিশাল  জাল
দুষ্টুলোকের মিষ্টি কথায় স্বস্তি নেই, ভয়ে বেসামাল।
কাজের ঝি টি,ঘরদ্বার ঝাড়ে, সান্‌-বাঁধা আঙিনাতে,
আড়াল থেকে মুচকি হাসে ছোট বাবু, দৃষ্টি বক্ষেতে।
অন্তরমাঝে স্বপ্ন  প্রেমিকামনে,নিস্পাপ  ভালোবাসা,
নবীন পেয়ে  কৌশলে চতুর প্রেমিক করে সর্বনাশা।
সরল  কথায়  দুধ  মিশিয়ে, বিশ্বাসের পাহাড় গড়ে,
ফনা তুলে  ছোবল  মারে,অর্থ  লোভে, তমোগহ্বরে।
সুগন্ধ ফুলে রূপের বড়াই, দিবানিশি, গিরির শিখরে,
সংকটছায়াশঙ্কিল ভুলে মজে,যুবতী কাঁটা কাঠিতরে।
প্রীতি স্রোতে স্বাধীন ছেলে, মনে নব্য  ছন্দের  বাস,
রাগিণীভরে  ভায়োলিন বাজাই, যখন ঘটে সর্বনাশ।
সন্তানের চলন  বলন,বাবা-মা'র তীক্ষ্ণ পঞ্জিকার মত
চর্বি তেলে ঘি  ছড়াই,অখেয়ালে, উদাহারণ বহু,শত।
ফক্কিফাঁকে চর্কিপাক খাই সুখ দুঃখের যত অসংগতি,
মেঘের স্রোতেভাসে জীবনগতি,সংগ্রাম নিত্যনৈমিত্তিক।


রচনাকাল
২৭।০৪।২০১৪
ইউ এ ই ।