শালিনী'র দুরন্ত যৌবনে শৃঙ্খলিত মন,
একাকীত্বে  ফাঁকি দেয় বারে বারে,
বিধিবিধানের দাস,স্বামীর অগোচরে
মর্মরের তলে ছুটে যায় অভিসারে।


টগবগ করে সতেজ প্রেমকৃষ্ণ লাভে,
সীমাহারা আকাশের নীল শাড়ির রূপ,
দুর্গম সঙ্কট যৌবনের গঠন প্রনালী,
মেটায় মায়াবী রাঙা রঙ তুলি মাখামুখ।


তুহিন তরঙ্গে,তুঙ্গ গিরি গর্জন তোলে,
প্রেমিক সুখের নিবাসে সুক্ষ অগ্নিশ্বাস,
নাড়ি ছেড়া ধন পুত্র  কাঁদে অনাদরে,
মণিময় তোরণের দ্বারে, বিচিত্র সুবাস।


চূর্ণ করলো বিশ্বাসের মন্দির,সরলতার
সুযোগে সমুদ্রের যৌবন-গর্জনে,
স্বামীর জ্ঞানকে হীন-আখের ছোখরা
ভেবে ছুটে গেলো সন্ধ্যারাতে নির্জনে।


অসীম ঐশ্বর্যরাশি সঙ্গে নিয়ে, প্রেমিক
সনে নীল কুটিরে,বাঁধবে নতুন ঘর,
স্বপ্নে আঁকা রঙ্গিন বাসর সাজাবে
শালিনী,অচিন আকাশে,স্বামীপুত্র করেপর।


প্রেমিক দীপ্তিমাখা মনে,অগ্নিঢালা সুধা
চুষে,সুহৃদ্‌রূপে নির্ভর ছলনার বন্ধন,
ঐশ্বর্যের অংশঅপহারী শালিনী'র শিয়র
থেকে তুলে,নিজেকে নির্বাসনেমন্থন।


গূঢ় অন্ধকারে শালিনী,প্রেমিকের অনুপুস্থিতে
হৃদয়দুর্গে বদ্ধ ঘরে,অস্থির ক্ষণ,
ভাঁজ করা চিরকুটে জবাব মিললো,
নিন্দার সুর তার সর্বনাশ অট্টহাসে তখন।


প্রবঞ্চনায় সুহৃদের নিন্দাবাক্যে,শালিনী
ধিক্কারে তর্কে জড়ায় বিবেকের সনে,
মুহূর্তে চৈতন্য এলো প্রলয়তিমিরে,
মহারণ্যতলে,দুর্দিনের ঘনঘটা তার মনে।


নিজে কে ধিক্কারিলো লোকনিন্দা লোক
লজ্জা খাতিরে,নিরস্ত্র দর্পের হুহুংকার,
সজল নয়নে কাঁদে,নির্বিষ সর্পের ফনায়,
কষ্টভারজর্জরিতা আত্মহত্যায় নিথর।


রচনাকাল
০৭।০৫।২০১৪
ইউ।এ ই ।


বিঃদ্রঃ-এই  আসরে কবিতায় ৫০ তমে আজ আমি । শুভকামনা সবার জন্য।