কনের সাজে,রমার বিয়ে,সুজন ওরে,
বিজন গ্রামে,পড়ছে কত ধুম,
ঢাক,ঢোল,আর সানাই বাজে,ঝাকনা তালে,
পাড়া-পড়শির নাইকো যেন ঘুম।


হরিত্‍‌বর্ণ শাড়ী পরে কোমর নাচায়,
চাষার মেয়েরা,অস্ত রবির গানে,
সোনা,গয়না রমা'র দেহঙ্গনে,সযতনে,
বিষাদ প্রদীপ জ্বলে সাঁঝের সন্ধ্যাক্ষণে ।


সুজন সখা,রাঙা ঠোঁটের লাল বাঁধনে,
ফোটিয়েছে কত তুলসী মঞ্জরী দুল,
লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে,রমা বলেছিলো,
প্রদীপ জ্বালবো,তোমার নামে হারায় যদিও কূল।


মনমাঠখানি আজ শূণ্য খাঁ খাঁ,বিষাদতায়
ঘূর্ণী ধূলী সুরে,বুঝি শিঙায় দিয়ে হাঁকা,
ধূলট মেঘা তুলট মেঘে টলমল করে,
জীবনের পথ কেন এত আঁকাবাঁকা ।


সুজন সখা আসবে বলে এলে নাকো,
পাওয়ার তৃষ্ণায়,মধু-চন্দ্রিমার অন্তরালে,
অর্ধেক রাত কাটালো সখার পানে চেয়ে
ফিঙে বুলবুলি গান গাইলো অন্যতালে ।


সিঁদুর দিলো অচিন হাতে,ললাট রাঙ্গিয়ে,
অধরে অধরে পড়ালো নমঃ
বক্ষ ছিঁড়ে লাঙল চাষলো,সারা নিশিক্ষণে,
নিথর,মন,সব দেহ তমো।


রচনাকাল
১২।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।