হে অচেনা পরী
সেই দিন জমিন মহলের পাশে কূল ঘেঁসে হাঁটছো দেখছি,
অসীমা রূপের রূপাস্বারনী সীমারেখা তোমার মুখাগ্রে,
উতারো দোপাট্টা টা বক্ষদেশ থেকে কন্ঠাগ্রে গিয়ে পৌঁছেছে,
চুলগুলো এলোমেলো ভাবে,গোপন চারিনীর ভাষায় উড়ছে,উদ্বেলিত মনে,
ভোরের শিশিরে'র মত ঘর্মাক্ত মুখায়ব,টলমল করছে,টপ-টপ লোনা জলে,
এক টুকরা টিস্যু পেপার মুখের বাম পাশে দারুণ মজা উপভোগে মত্ত,
বুঝে নিলাম এই বুঝি,তুমি  তোমার সোনাবরণ মুখখানা তথাকথিত
টিস্যু দিয়ে চুম্বন করিয়ে নিলে!!
আমার বড্ড হিংসে হয়েছিলো জানো ?
তোমার রূপের গ্রহে কি ভাবে সে আগ্রহে আসন পাতে!!
ভেবেছিলাম,ডেকে বলবো তোমায় ,"হে স্নিগ্ধা রমনী,তিলেত্তমা,
তোমার ঐ লোনা জল গুলো আর মুছো না,ভাসতে দাও,আমি তাতে স্নান করবো"
কিন্তু তুমি পুনরায় মুছে নিলে,আমি কিছু বলতে গিয়ে ও বলতে পারলাম না,
ইভটিজিং এর পবনে যদি আমায় উড়িয়ে দাও!!
তোমার পায়ে'র পায়েলে'র রিনিঝিনি শব্দ,হাতের কাঁকনের উদগ্র কামনা'র ঝঙ্কার,
ভাবতে বাধ্য করেছে তোমার জন্ম বুঝি বিধাতা আমার জন্য পাঠিয়েছেন।
তোমার টিঁয়ে ঠোঁটে'র রসালো জলে,চিরন্তন বাসনা সঙ্গিনী করা'র সাধ জাগে,
মানস রঙ্গনী গো,এই মনে,তুমি যে আমার সপ্ন সহচরী অনাগত প্রিয়া।
তোমার পায়ের চিহ্ন গুলো কে কত  চেনার চেষ্টা করেছি,
আমি পারিনি তোমায় চিনতে,কি করে পারবো বলো?
প্রতিদিন কত তরুন-তরুনীই তো হেঁটে যাচ্ছে,গভীর প্রেমের প্রীতি নিয়ে ঐ পথ ধরে।
গাঢ় আকাশী আসমান ভরা তোমার দেহ জমিন,দ্রাক্ষা বুকের উচু পাহাড়,
রূপে রূপে অপরূপা তোমার শরীরে'র সুবাস আজ ও আমায় দৌঁড়ায়
সেই জমিন মহলের আশ-পাশ,পরিণয়ের যবনিকায় ।
সময়ের আয়োজনে,
যে দিন আবার হঠাত তোমার অনাকাঙ্খিত উপস্থিতি আমার আঁখির আলোতে,
আমি তো স্বপ্ন সাগরে নাও ভাসাতে যাচ্ছি,সহস্র আশা বুকে বেঁধে,
সুক্ষ ভালোবাসার জাল পেতে,জীবন পুঁথি কাব্যের ইতিহাসে,
সপ্নাদ্রিত আঁখি ভাসছে মধুর তিমিরে,কিন্তু একি হায়!!স্বপ্নরুদ্ধ আমি,
অশান্ত মনে ঢেউ খেলে গেলো,জীবনতরী সাগরের মাঝে,
পাঁচ বছরের বালক যখন মা"বলে ডেকে  তোমার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়লো।


রচনাকাল,
২১।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।