পত্রের প্রতি উত্তরের প্রতিক্ষায়,দিন গুনে অনামিকা,সকাল,সন্ধ্যা রাজে,
ধুলায় তানপুরাটার তারগুলো কাঁটালতা দ্বারে,শাশুড়ি কায়েম করলো চিঠি খানা ভাঁজে।
ধূপ দীপে'র ধোঁয়ায়,কষ্টের তর্পণে,আমার জ্বরাতুরা শীর্ণ দেহখানি,
ফিরে ও তাকালো না কেউ মোর খেয়াতরীতে,আমি যেন দিঘির ঘোলা পানি।
রাত্রি দ্বিপ্রহর,পতিহীন ঘরে,শ্যাওলার আস্তরে দরজায় কার যেন আনাগোনা,
কে ওখানে,পায়চারি করছেন,দিচ্ছেন কেন সাড়া,যকৃতের কাঁপনে কম্পিত মনা।
হঠাত্‍‌ নজরে এলো দেবরে'র ক্রুর মুচকি হাসি, গোপন দূত যেন,একলা কক্ষে,
এসো বৌদি,মাথা টিপে দিই,জ্বরাতুরা তুমি,দাদা যে নেই তোমার বক্ষে।
ততক্ষনাত্‍‌ স্বামী ঘরে আগমনে,মদ্যপানীয় চক্ষুতে,হুঙ্কার ছাড়ে,বাজে বজ্রধ্বনি,
দুর্জয় রাইফেল,যেন সৈনিকের কড়া পোশাকে তরঙ্গিত মুহূর্তেই শ্লথ দেহখানি।
আর সইবার নয়,এমন যাতনা,স্বপ্নের সংসারের মাঠে,বিপন্ন দুর্ভিক্ষের অস্তিত্বে,
ভোরের প্রতীক্ষা নয়,মঙ্গলঘটে মাঝ নিশিথে,বের হলাম অজানা আশঙ্খাতে।
ব্যথার সাঁতারে চোরাবালির চরে,আঁখি মেলে দেখি,হাসপাতালের বিছানায়,
জননীর অশ্রুধারা ঝ’রছে মাথার’উপর,সর্বহারা আমি যেন অতি অসহায় ।
অদূরে দাঁড়িয়ে সেই চির চেনা মুখ,আঁখিতে মাদুর-ভরা কাঁদনে বাঁধন ছেঁড়া মন,
যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম জীবন যৌবনে,আজ যেন ঘিরি’ ঘিরি’ নাচছে সিন্ধুজল।


রচনাকাল
৩১।০৫।২০১৪
ইউ এ ই।