ডাক্তারের মহাতত্ত্বগুলি শুনে,আমি চমকে  গেলাম মুষ্টি, বল্কল বসন,
নতুন অতিথি আশ্রয় নিয়েছে,পুণ্যচ্ছায়ায়,জগতের নারী হৃদয়স্পন্দন।
দিন গেলো মাস গেলো বাবার সংসারে,ফোটলো অলি থেকে কন্যা ফুল,
নিরাপদে রাজভোগ স্বাধীনতা চাই,মেয়েকে গড়বে,সেই রকম পুষ্প দুল।
পাষাণপিঞ্জরে কষ্ট গুলো চেপে,বর্ষভরা পুঁজি,চাকুরি নিলাম,জীবনের কাঁধে,
সিঁথির সিঁদুর থাক না পড়ে স্বামীর নামে,ললাট পানে,যে রাধে সে চুল বাঁধে।
মনের গিরিদরীবনে,আশ্রয় চেয়েছিলো,পুরানো প্রেমিক,বাঁধবে সংসার বন্ধনে
নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী নিয়তি মনের সুখ কেড়ে নিয়েছে বৈকি,স্বামী ভক্তি মোর অঙ্গনে।
সুখের সুধা ক্ষুধাহীন যেন,তিলে তিলে ভাঁজ পড়ে পঞ্জিকার মহীয়ান অলঙ্কার,
মনের আড়ালে অপেক্ষায় মরি,শস্যক্ষেত্র উর্বরে পতিপুরুষ,সুন্দর মনের সংসার।
এক প্রভাতে,বরষের বেদনার ঘন ছায়ায়,দরজায় দাঁড়ানো,সেই হৃদয়হীন পুরুষ,
দীপ্ত নয়ন ঝড়ছে অশ্রু জলে,অপরাধের কালো কায়া,তপ্ত রৌদ্রদাহে যেন সুরুজ।
ওগো ঘরে ফিরে চলো,আমায় ক্ষমা করো,তুমি যে আমার বিজয়-লক্ষ্ণী নারী,
আমি ভুল করেছি মন্দের ফাঁদে পড়ে,ঐ যে দেখো গোটা পরিবার সারি সারি।
ঐ দেখো আমার বোন টি কে পতি তাড়িয়ে দিলো,ভেঙ্গে গেলো সোনার সংসার,
ব্যাঘ্রসনে সমুচ্চ ধিক্কারে নিন্দাধ্বনি বাজে,স্পর্শ করলো তার অজ্ঞানতার অঙ্গার ।
বিধাতা খেলে গেলেন তাঁর মহান সৃষ্টির কল্যাণকরে,অনামিকার জীবন যামিনী,
ভেদাভেদ করো না নর-নারী'র হে মানব জাতি, গড়ো না এমন করুণ কাহিনী।


রচনাকাল
০১০৬।২০১৪
ইউ এ ই ।