তোমার দক্ষিণদ্বার খুলিয়া রাখিও সুদূর দিগন্তে
আমি নিশি বিহঙ্গের কোনো এক গানে সুর তুলিয়া ডাকিবো
পল্লবমর্মরে বসন্তগানে পুষ্পবিলাসী ঘ্রাণে সুবাসিত করিয়া
হৃদয় মাখনে মোহিত করিতে আসিয়ো প্রিয়ে,আমার বক্ষ কুঞ্জালয়ে।


সেই রাত্রিরে নির্জন চম্পকবনে সারাটি ক্ষণ শিহরীত শীতে কনকন,
নিবারিব অনলে কাটাইয়াছি তোমার পথপানে চাহিয়া দীপ্ত-অরুণ-বাসনায়,
প্রমোদক্লান্ত প্রেমমনে যখনি আসিলে,তখনি আমার যাইবার সময় হইলো,
এক খানা মোমবাতি হাতে লইয়া দ্বিধাকম্পিত মুখায়বে গদগদ।


এক দিন শুনিলাম তোমার বিবাহের সানাই বাজিয়া  গেলো-সময়ের হাটে


রক্তিমমুখে শরমে নাকি অভিমানে তুমি আমার পাশ কাটাইয়া
হাঁটিতে লাগিলে,কপালে সিঁদুর,হাতে শঙ্খের সাদা কাঁকন জোড়া,
লাল বেনারশী শাড়ি, মেহেদীর চকচকে লালে টকটকে গ্রামীন পল্লীবধু,
আমায় দেখিয়া মুখ ফিরাইলে কেননা আজ আমি যে জ্ঞানহীন জগতের বাসিন্দা।


গ্রাম্য ছোট ছোট বিচ্ছু ছেলেরা আমার বসন ধরিয়া টানিতেছে,
দেখিলাম অনেকেই শ্বাস বন্ধ করিয়া পাশ কাটাইতেছে,আমার গায়ের গন্ধে,
কৈই তুমি তো তোমার নাসারন্ধ্র ধরিলে না!!তবে কি আমি ভাবিবো প্রেম
এখনো জাগিয়া রহিয়াছে তোমারি অন্তর কোণে নাকি করিলে ছলণা?


তোমারি দেওয়া সেই জামা টি ওরা টানিয়া ছিড়িয়া লইয়া যাইতে লাগিলো,
আমি বারণ করিলাম,শুনিলো না, বরং  তারা আমাকে মারিয়া চামড়া তুলিলো
কিন্তু অন্তর মাতিয়া উঠিতেছে গর্জনগানে তোমার মুখের ক্রর হাসি দেখিবার পর,
আমি নাকি পাগল,তোমারি পিড়িতের পাগল,এ কেমন জীর্ণতা আমার বলতো?


রচনাকাল
০৬।০৬।২০১৪
ইউ এ ই