হে অদৃশ্য মানবী,
কোন এক সন্ধ্যায় চঞ্চল পুলকরাশি মনে কয়েক'টা কবিতা আবৃত্তি করে শুনালে,
সুদূর দিগন্তে যেন আজো ভাসে তোমার কন্ঠনালী'র যৌবনের গান,
সে কি সুরেলা বলিষ্ঠ কবিতা কথার আওয়াজ,বিধাতা বুঝি অতি যত্নে গড়েছেন?
হৃদয় মগন গানে এখনো ধ্বনিত হচ্ছে রণতরে কাব্যের আনন্দ-অভিবাদনে,
আমি কল্পনায় তোমাকে আঁকি,কাব্যে তোমায় খুঁজি, ক্রিয়াকর্ম-যজ্ঞযাগে।
আমি বালুকারাশি খুঁজে শব্দ তৈরি করি তোমার স্বরের পরশমানিকের লোভে,
রাত জেগে কবিতা লিখি,আবেগ থেকে শব্দ কিনে,
ধার করি তোমার মধুর অদৃশ্য উপস্থিতি মনের পুষ্পরেণুগন্ধমাখায়,
কোন শিল্পীর আঁকা তোমার কল্পনীত রূপের বর্ণনায়।
আমি তোয়ালে বিছিয়ে রাখি তুমি আসবে,স্বপ্নে স্বশরীরে,
তোমার শরীরে'র চমকিত স্বাদ প্রাণের আহ্লাদে আমি লিখবো
এক টুকরা পরিপাটি পরিচ্ছন্ন কবিতা ।
আমি তোমার শ্রী'তে চাষ করবো কবিতাকথা
সাহিতের বীজে তোমার কপালে বসানো বাঁকা চাঁদ,
অধরে জলীয় জলের উতপ্ত তেজে মাতাল করে দিবো
শব্দ দিয়ে ছন্দে'র লাইনগুলো উপমায়,
তুমি ঝংকার তুলে প্রলয়ে ভাসিয়ে আবৃত্তি করবে আপন ভঙ্গিমায়,
সহস্র স্রোতার হাত তালিতে ভাব ভেঙ্গে দেখি তুমি আমার সামনে,
যদি হয় এমনি কোন দিন হে মনের প্রতিবেশী কবিতামানবী ।


রচনাকাল
১৩।০৬।২০১৪
ইউ এ ই।