তবে ছুঁড়িয়া ফেলিয়া দাও তোমার মনের,অঙ্গদের নিয়মের বসন খানি
আমি ঐ ভাসমান মেঘের কাছে যাইয়া মিনতি করিবো তাহারি ঝরা শিশির যেন
তোমারি কোমল চক্ষে সৈনিকের ঐ গৈরিক স্নানে ভিজাইয়া দেয়,অয়ি প্রিয়ে।
আমি আজি নিশিতে মোমদীপ জ্বালাইয়া রাখিবো নীরব ভুঞ্জনে প্রতিক্ষায়,
কুঞ্জ ভরা ফুলে সাজাইয়া রাখিবো,অসীম আনন্দসুধায় নীলাচলে,
বীণা'র তারে তাল তুলিয়া সুরের লহরী টানিবো মধুময় সুরে,
তুমি পেখম মেলিয়া পরী'র মত কম্পিত চঞ্চলে চক্ষু ছলছল করিয়া গাইবে প্রেমগীত,
উত্তাল সাগরে ভাসিবো দু'জন দু"জনার অভিসারে।
হে ললিতে,মানসসুন্দরী মনের মানবী,
তোমারি বসনে'র আঁচল খানি একটু ভিজাইয়া রাখিও
মৃণাল-পরশে মুছিয়া লইবো,
আমার দেহে হইতে খসিয়া পড়া উদ্ভাসিয়া ঘামাজল।
মৃদু হাসি হাসি ঠোঁটে লাল রঙ্গের অধর রঞ্জিত করিয়া রাখিবে সংগোপনে,
ওষ্ঠাধরপুটে'র আড়ালে লুকানো সমতল দাঁতের সারি গুলো,
আমি স্থির হইয়া দেখিবো যতনে,উজ্জ্বল রক্তিমবর্ণ সুধাপূর্ণ সুখে।
যখনি মোমদীপ মিলাইয়া যাইবে অগ্নি দহনে,
আমি তোমারি আঁখিপাতে তাহার আলো খুঁজিবো চক্ষু পল্লবপ্রচ্ছায়ায়,
তুমি অপলক নয়নে নীরবে অর্ধ-নিমীলিত আঁখিতে আমায় দেখিবে,
আমি হইবো তোমার নিরঞ্জন,মাঝ নিশিতে মানভুঞ্জন অন্তরঙ্গে "শুভ পরিণয়ে",
শুভ্র থান কাপড়ে বিধবার বেশে তোমায় আর মানায় না যে প্রিয়ে!!
আয়ি নিরভিমানিনী,প্রাণের প্রণয়িনী প্রিয়তমা,
অভিমানের দহনে আমায় আর দংশন করি ও না
আমি আজ দগ্ধ দুঃখের বরিষণে দিবানিশি নিঃশব্দ নিস্তব্ধ পুরুষ!!
দ্বার খুলিয়া রাখিয়াছি শ্রান্ত রূপসীর মতো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সংসার সায়াহ্নে ।


রচনাকাল
১৯।০৬।২০১৪
ইই এ ই।