আষাঢ়ের সন্ধ্যা'য় ঈষাণ কোণে কালো মেঘ জমেছে ভারি,
হৃদয়ের  চারি  ধার ভয়ে শঙ্খিত আজ উশৃঙ্খল দিশারী।
উত্তুঙ্গ  নির্জণে  ভূলোকে ঘনঘটা ,আসছে  চুরমার  করে,
বাবা গেছেন উগ্রগাঙ্গে মাছ ধরতে,জীবন জীবিকার তরে।


বক্ষপিঞ্জরে আগমনী বরষা'য় চিন্তায় উথাল পাতাল করে,
স্তব্ধ ধরণী নৃত্যে মত্ত উল্লাসে অনুপমা একা অসহায় ঘরে।
খড়ে'র ছাউনি ভাঙ্গা বেড়া'র ফাঁকে  বিজলী চমকায় ক্ষণে,
শিহরণ  উঠে  আকাশের গর্জন  শুনে  কাঁপছে প্রাণে মনে।


এক বরষায় মা'কে টেনে নিলো আঁধারে'র কালো নিশী'থে
ছোট ভাই'টি ও মায়ের টানে ছুটতে গিয়ে ভাসলো নদী'তে।
আজ ভয়ে কম্পিত অনুপমা চিন্তিত মনে হৃদয়ে তোলপাড়
স্বপ্নে'র মনসমুদ্রে অশান্ত ঢেউ তিব্বতের গিরিতটে দরবার।


দীপ্তোজ্জ্বল ভঙ্গিমায় বরষ বয়ে যাচ্ছে প্রচণ্ড সমীরণ বলে,
অরণ্য মেঘের তলে  প্রচ্ছন্ন বজ্রের মত তান্ডব লীলা চলে।
পশ্চিম চালা উড়ে চলে গেলো অনুপমা কাক ভেজা শরীরে
প্রভাতে আলো'য় বাবা ফিরে এলেন সাদা কাফনে জড়িয়ে।


কাল এনেছেন বাবা সাগর খোঁড়াখোঁড়ি করে মস্ত বড় মাছ,
কেটেকুটে দিয়ে বললেন,মা'রে কিছু রাঁধ কিছু তেলে ভাঁজ।
পড়ে আছে সেই  ভাঁজা মাছের টুকরো গুলো রেখেছে যেমন
বাবা'র মর দেহ পানে চেয়ে রইলো অনুপমা'র বিচিত্র জীবন।


>>>>>>>>>> বরষার আয়োজন >>>>>>>>>>


রচনাকাল
২০।০৬।২০১৪
ইউ এ ই ।