কতদিন এই অন্ধকারে'ঐ নক্ষত্র' কে দেখি'না
পাই না তাঁর অসীম মগজ সমুদ্রে সাঁতার কাটার মত জল,
পিপাসায় কন্ঠনালী শুকিয়ে গেছে,ভাষার উপমাহীনা আলোচনা,
বহমান নদী ভরা যৌবনে,লহর গুলো থই থই শব্দ করতে ভুলে গেছে।
নিজ হাতে গড়া ময়না গুলো যেন আজ বড্ড অসহায়,
তাদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না,চোখে জল গড়িয়ে পরছে অবিরত,
হাসতে তারা সেই কবে ভুলে গেছে,
যে দিন থেকে তোমার পদচিহ্ন আর এ দিকে আর পরে না ।
আমার পোষা ময়না গুলো কি তোমার আগের মত খোরাক দিতে পারে না ?
প্রশ্ন টা কেবল মনের মাঝে আকুঁপাঁকু করছে ?
যখন দেখি তুমি অন্য দরজায় গিয়ে কড়া নাড়ছো সযতনে!!
বাক বাকুম বাক, বাক বাকুম বলে বুলি করছো,তখন বড্ড কষ্ট হয় জানো ?
পারছেনা অন্তরটা ছিঁড়ে দেখায় ময়না গুলো ।
কাল নিশিতে আমি ঐ পাহাড়ের কাঁদতে শুনেছিলাম গভীর রাত্রে,
ভাবলাম ঐ পাহাড় গুলো কি কান্না করতে শিখে গেছে ?
কবে থেকে ?
কখন থেকে ?
কিন্তু কেন ?
মন দিয়ে  উপলব্ধি করলাম,
তাদের গায়ে এখন আর সেই নক্ষত্র টি এসে প্রাণে'র আলো দেয় না বলে,
শব্দ গাছ গুলো যেন নাজুক মনে বোবা ভাষায় কাঁদছে।
একদম সহ্য হচ্ছে না তাদের বোবা কান্না !!
হে সাহিত্যসম্রাট কথা'র ফাঁকে লাইনের বাঁকে শব্দ বসাতে গিয়ে,
ইট গুলো সারিবদ্ধ ভাবে বসেনি হয়তো সলিং করা রাস্তায়,ভুল ক্রমে
তাই বলে,দূরে ঠেলে দিলে আমার ময়না গুলো কে ?
তুমি কি শুনতে পাওনা তাদের আমন্ত্রণে'র বীণা'র সুর ?
নিষ্ঠুর কষ্টের চাপা যন্ত্রণার বুভুক্ষু মনের হাহাকার!!
ফিরে এসো বন্ধু আবার আগের মত করে,
ওদের একটু প্রাণ খুলে হাসতে দাও।
ওদের গায়ে একটু পরশ বুলিয়ে দাও
ভালোবাসায় এবং ভালোবাসায় ।


রচনাকাল
২৯।০৬।২০১৪
ইউ এ ই ।


বিঃদ্রঃ-আমার এই কবিতা টি আমি আজ আসরে'র স্বনামধন্য কবি এবং আলোচক,মন্তব্যের জাদুকর কবিবন্ধুবরেষু,জনাব বোদরুল আলম সাহেব কে উৎসর্গ করলাম ।