নুপূর পরা তোমার চরণ দুটি মানসী
নির্জনেতে তুলে আনে পাগল করা সুর,
কল্লোলধ্বনি করে সৌন্দর্যের বাসনাতীরে
হৃদয়তন্ত্রে'র তরঙ্গধ্বনি বড়ই মধুর ।


অর্ধেক আঁচল তোমার বক্ষে রেখো,
বাকি রেখো আমার কোমল মুখে,
এলোকেশী চুলে'র রোমাঞ্চ অঙ্কুরি
শুঁকবো,মন ভরে যতনে অতি সুখে।


কম্পিত চঞ্চল বক্ষ,চক্ষু ছলছল
বুঝাবে রঙ্গিন স্বপ্নের আশা,
ঐ মধুরতা দিক সৌম্য স্নানে ,
মনে করুণকোমল আভা সহসা।


একটু ঈষৎ হেসো মৃদু ভাষে
আড়াল করে,ওষ্ঠাধরপুটে'র ফাঁকে,
বঙ্কিম গ্রীবা মুখখানি আমার দিকে
তাকাও দেখ আঁখি ইশারায় ডাকে।


রাঙিছ অধরাঞ্চল খানি লালাভ
কম্পিত শিখায় আলোকবসনা,
থরথর কাঁপে মন ক্ষেপা মূর্তিমতী
রূপভাষিণী, একটু কাছে আসো না।


আবেগের বানে ভেসে ললিত
যৌবনখানি সাজিয়ে দিলো বিছানায়,
স্বর্গ হতে মর্তভূমি মানব বিবেকে'র
কোলে পুরুষদীপ্ত মন অসহায়।


প্রেয়সী'র ঝিকিমিকি রূপের আলোছায়ায়
বক্ষদেশে ফুঁটেছে শিশির ভেজা শেফালি,
মনে গভীর অরণ্যে অসীম আকাঙ্খারাশি
গুপ্ত মৌ-বনে প্রিয়তমা চৈতালী।


দশ বছরে'র প্রেমে আজ একি রূপ
স্বরলিপি দিলে,নগ্ন সমীরণভরে,
তবে কি যৌবনে আজ ফোঁটেছে
কনক চাঁপা ফুল প্রেমের অভিসারে!!


রচনাকাল
৩০।০৬।২০১৪
ইউ এ ই ।