ঐ বাড়ি'টা বৃদ্ধে'র এক মাত্র সম্বল শিশু থেকে যৌবনকাল,
মনে প্রাণে মিশে আছে প্রতি'টি ইট বালু-কণা এই হেনকাল।
প্রভাতে'র রোদ গায়ে সেকবার তরে,বানিয়েছেন বৈঠক খানা
ছাব্বিশে'র ঘরে পা দিতে,রূপসীবধু এসে উড়ালো আঁচল ডানা।


বছরে'র পর বছর ঘুরে,ঐ রূপসী বধু হলেন পাঁচ সন্তানের মা,
বৃদ্ধ আজ বৃদ্ধা কে নিয়ে পড়ে আছেন,সন্তানদের ক্ষার যাতনা।
সবায় ছেড়ে চলে গেছে আপন গন্তব্যে,যে যার মন মত করে,
একবার ও ভাবলো না তারা বাবা,মা'কে নিয়ে,জীবন সংসারে।


অসহায় বৃদ্ধ,বৃদ্ধা পড়ে আছেন ঐ বাড়িতে জীবন যখন যেমন,
অভিযোগ নেই কভু কারো প্রতি,সন্তান'রা রেখে'ছে যে তেমন।
বাড়িটি'র আনাচে কানাচে পড়ে আছে, কত শত ক্ষণের ছবি,
জোছনা রাতে চাঁদের আলোয় তারা গুনা,কভু সাজতেন কবি।


বাড়ি'র দক্ষিণ পাশে  ফলের বাগান, উত্তর পাশে অজস্র ফুল,
পশ্চিম পাশে মাছে ভরা পুকুর,মাচা ঘেরা লাউয়ের বড় ঝুল।
পুকুর পাড়ে ছোট মাচা বেঁধে চা' চুমুকে দেখতেন মাছের খেলা,
বৃদ্ধা এসে  সঙ্গ দিতে'ন  ক্ষণে ক্ষণে যায়  যায় দিন সারা বেলা।


রান্না ঘরে'র পাশে লাগিয়েছিলেন বৃদ্ধা রজনী গন্ধা সুবাসি ফুল,
পাতিলে তেলে'র কড়া গন্ধে যেন নাক না ফাটে,করে'নি তা ভুল।
এত ভালোবাসাবাসি থাকতেন কাছা-কাছি দু'জন দু'জনার তরে,
এই বাড়ি'টি যেন স্বর্গ তাঁদের বেঁচে থাকা'র জীবন যাপন সংসারে।


কিন্তু একি!হলো হায়!সময়ে কাঁদায়,নদী ভাঙনে ভেঙ্গে নিলো ঘর
অশ্রুজলে সাঁতার কাটছে,কষ্ট ডিঙায় শূন্যে জীবনে সাজানো আসর।
এক কাল বৈশাখী ঝড়ে,বৃদ্ধা চলে গেলেন,জীবন থেকে ছুটি নিয়ে,
অহর্নিশি কাঁদেন নির্ভর বন্ধন টুটে যাওয়া শোকে স্ত্রী' যে তাঁর প্রিয়ে।


রচনাকাল
০৭।০৭।২০১৪
ইউ এ ই।