তুমি যেখানে যেমন তোমার এক টুকরো শরীর
সে তো তোমার বাবা-মায়ের সাধনার ফল,
আরতি করেছেন স্রষ্টার চরণে পুজা নিবেদনে
তোমার আগমনের আশায় প্রতি টি পল পল।


প্রসব বেদনায় মা যখন অস্থির, শরীর খিঁচুনি
ধীরে ধীরে ভূমিষ্ঠ হ'লে এই মায়াময় ধরনী'তে,
সাদা  হয়ে  গিয়ে  ছিলো,  মায়ের দেহ খানী
তবু আড়ালে হেসেছেন মিষ্টি সুখে তরনী'তে।


শৈশব কেটেছে গাঢ় মধুর মমতায় আঁচল জুড়ে
স্নেহের চোখের ছায়ায় প্রতিদিন, প্রতি ক্ষণে,
মা-বাবা কত রাত জেগে বসেছিলেন শিয়রে
উদগ্রীব চিত্তে রোগ ব্যাধি না যেন আসে রনে।


কৈশোরের সিঁড়ি ডিঙিয়ে রঙ্গিন মনে যখন তুমি
অপরূপা,সুন্দরী প্রেমে,স্থাপন করলে জীবন মন,
হৃদয়ে প্রেম এনে বাসনার আলোড়ন গড়লে তথা
সুখ ভেবে,তোমার বউ এর হীন মন্য আচরণ।


বউ তোমার,শাসনে রাখে মমতাময়ী মা কে
রোগে শোকে জ্বরাগ্রস্থ ভাঙ্গা শরীরে'র বাঁকে,
সংসারে'র ঘানি বাসন কোসন,কাপড় ধোয়া
প্রাণ বায়ু যেন বের হয়ে যাচ্ছে কোন ফাঁকে।


আয়েশী জীবন কাটাচ্ছো তুমি বউ এর কথায়
নরম বিছানায় পালঙ্কে যে সুখের সমুদ্র বেয়ে
মা পড়ে আছেন রান্না ঘরে'র এক প্রান্ত ধরে,
সারা দিনে'র অসীম খাঁটুনীর ক্লান্ত শরীর নুয়ে।


এক বার ও নিলে না খবর মায়ে'র কষ্ট জাহাজ
দিনে দিনে শত যন্ত্রণায় হচ্ছে,কত সীমাহীন ভারি,
টের পাবে না কোন এক সন্দ্ধি'ক্ষণে নিশ্চুপ রনে
পাড়ি দিবেন নোঙ্গর তুলে এই জীবন সংসার ছাড়ি।


স্বজ্ঞানে আসো স্বরলিপি সাজাও জীবন চন্দ্রিমাতে
জগতে'র সেরা সুখ বাবা,মায়ের গভীর ভালোবাসায়
খুঁত নেই তাতে বিন্দু মাত্র,কভু জীবন সমীকরণে
তাঁদের শ্রদ্ধা ভক্তি'তে বাঁচিয়ে রাখো ছায়া পরিক্রমায়।


রচনাকাল
১৩।০৭।২০১৪
ইউ এ ই।