আমি তোমারে শুধাই ওহে কঙ্কাবতী
মনে কি পরে সেই রাত্রিরে'র কথা,
মাঝ নিশি'তে আসিয়াছ অন্ধকার
ঘরে ভুলিয়া গিয়া জাতি কূল প্রথা ।


আমি চমকিয়া উঠিলাম সেই ক্ষণে
ভাবিয়া  পাইলাম না কোন দিশা
থর থর করিয়া কাঁপিয়াছে হাঁটুদ্বয়
খানি ভয়ে  প্রভাতের  অমানিশা।


লোকে নিন্দাবরষা ঝরাইবে নির্নি
তোমারি দেহে আলপনা কলঙ্ক,
ভাবিলেনা এক বার ও সেই দিকে
আসিয়া বসিয়াছ আমার পালঙ্ক ।


জননী আবাস পাইয়া তোমায়
দেখিয়া ক্ষণে শুধাইলেন বারংবার
তুমি নাপিতে'র মেয়ে আমি দাশ"
ভাবিয়া তোমায় করিলেন তিরসকার।


তোমার ঐ দু'চোখে'র শ্রাবণ ধারা
দেখিয়া মন'টা কাঁদিয়া উঠিলো হায়,
অপেক্ষা করিলে আমারি মুখপানে
চাহিয়া মলিন ভাবে,আমি যে নিরুপায়।


আঁধার রাতে'র নাঙ্গা পায়ে ভরাজল চক্ষু
মুছিয়া চলিয়া গেলে আমার কক্ষ হইতে,
তোমার পিতা-মাতা শুনিয়া বিবাহ ঠিক
করিলেন অন্যত্র,আমার যন্ত্রণা দিবা রাত্রে।


মা বিবাহ দিলেন তাঁর সই'য়ের মেয়ে'র সনে
সে যে সাজিলো য্ন্ত্রণাময়ী তুখর দানবী,
সারা'টি রাত নেশায় আসক্ত হইয়া পড়িয়া
থাকে অন্ধকারে,কোথায় তুমি হে মানবী।


আমি যাকে আনিলাম ঘরে বধু সাজাইয়া  
জানিলাম সে অন্য মনের প্রেমিকে'র প্রেমিকা
জোর করিয়া তুলিয়া দিলেন আমার মনে
এ কেমন আশাহীন জীবনে'র জীবন স্বরনিকা।


ভুলিতে পারি নাই তোমায়, আদৌ সে আগমন
অসহায় ছিলাম  মায়ের শ্রদ্ধা ভক্তি'র  ভারে
আঁখি জলে ভাসিতেছেন জননী এখন নিরবধি
অনুসূচনার কবলে পড়িয়া ভবের এই সংসারে।


রচনাকাল
১৪।০৭।২০১৪
ইউ এ ই।