এসো তোমার শাড়িটা আমি গুজে দিই,
পানপাতা রঙ্গের শাড়িতে তোমায় বেশ মানাচ্ছে গো!!
ইশ!ব্লাউজ টা যদি আরেকটু গাঢ় হতো আরো বেশ মানাতো!!
মুক্তাবেণীটা আমি বেঁধে দিবো তুমি পারবে না গো ।
তুমি দেখো চুলের উপর চুল ফেলে তোমার এলোকেশী চুলকে
আমি কেমন কোমলতায় ভরিয়ে দিই-
আহা!! নড়ছ কেন ? শাড়ির ভাঁজ গুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে তো !!
কি তোমার ইয়ে লাগছে ? হেসো না  কিন্তু ?
তোমার খোকন সোনাকে আমি সাজিয়ে দিয়েছি দেখো-
একদম সেই রকম লাগছে দেখ তাই না ?
ওর বয়সী মেয়েরা দেখলে বন্ধু হতে চাইবে খুব তাড়াতাড়ি
যেমনটি তুমি হয়েছ আমায় দেখে বন্ধু থেকে একেবারে,
প্রেমে ডুবিয়ে ছুবিয়ে ছাড়লে ছাতনাতলায়।
উপস!! ব্যাথা পাচ্ছি তো এমন করে কি কেউ গাল টানে ?
দেখো খোকন সোনা দেখে হাসছে -
কি বললে? আবার শাড়ি? এই ঈদে  অনেক দাম হবে গো-
এক কাজ করো পূজায় কিনে দিবো বেশ কয়েকটা,
সাথে গহনাও দিবো ও হ্যাঁ তোমায় তো বলা ই হয় নি
সেই দিন কথায় কথায় তোমার জন্য বেশ কিছু
গহনা করতে দিয়ে এলাম সুমন'দার দোকানে।
কি বললে মায়ের  জন্য -?
তা কি বলতে  হবে তোমার আগে মায়ের  জন্যই বানাতে দিয়ে এলাম।
আহ!! আবার  নড়ছো !!
আসো চোখের ভ্রু টা এঁকে দিই
তোমার হাত দুটি আমার কাঁধের উপর রাখো তাতে সুবিধে হবে।
এবার ঠিক আছে এবার গিয়ে আয়নায় দাঁড়াও।
হয়েছে হয়েছে আমার আর তারিফ করতে  হবে না
আমি তোমায় ভালো সাজাতে পারি -
আর তুমি যে আমার সংসারটাকে মনের মত করে সাজিয়ে রেখেছো?
ফুল হয়ে আমার জীবন গহীনে ভালোবাসায় শুধু ভালোবাসায়।।
এমনি করে থেকে আমার জীবনে কবিতা হয়ে কবিতার পাতায়।


রচনাকাল
২৫।০৭।২০১৪
ইউ এ ই ।