হৃদয়ের  উৎসমুখে উষ্ণ আমেজে কালো কেশে
         দেখিলাম কাজল কালো ভ্রমর,
নিজ প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী সাজিয়েছে দেহখানি
         ভাসা ভাসা হরিণ চোখের নগর।
বক্ষে তাহার মধুকর ভিটায় স্তপ বাঁধিয়াছে  মাটি
          দোপাট্টা পড়িয়া রহিয়াছে গলে,
এত হাসি কি করিয়া হাসে ঠোঁটের ঝিলিকে মুগ্ধ
          ভায়োলিন সুরের ছন্দে তালে।
প্রদীপখানি জ্বালিয়া তুলিয়া হাঁটিতে লাগিলো ধীরে
          সহসা আমি রুখিলাম অগ্রভাগে,
চোখে চোখে হইলো মত বিনিময় যেন মনের সুর
      মনে প্রেমের গভীর প্রেমোন্মাদনা জাগে।
আমার পাশ কাটিয়া চলিয়া গেলো মনের প্রতিবেশী
           শঙ্কায় রইলাম শুধু তাহারে চাহিয়া,
মুহূর্তেই পাঁজরগুলো যেন কাঁপিয়া উঠিলো তোড়জোরে
          শূণ্য বুকে কোন আবাস না পাইয়া।
আমি তাহারে খুঁজিয়াছি চলেছি সেই চেনামুখ নীরবে
          বহু ক্লান্ত আজি মনের আশার পথে,
চক্ষুকর্ণ দুইটি ডানায় ঢাকা কালো দাগে চিত্রপটে আঁকা
           না পাওয়ার বেদনা ভরা মনোরথে।
পার হইতে লাগিলো সময়ের স্রোত জগতের নিয়মে
          আজো খুঁজিতেছি তাহার চেনা মুখ,
ললাটে সিঁদুরপরা রমণী কে হাঁটিয়া যায় সন্ধ্যা ক্ষণে
         যুগলপ্রাণে বাঁধা তাহাদের চারটি চোখ।
আমি চমকিয়া উঠিলাম সময়ের ব্যবধান দেখিয়া তব
         নিয়তি এই কেমন করিলো খেলা,
আমি ভালোবাসিয়াছি তাহাকে দূর থেকে রূপ দেখিয়া
         সুযোগ হইলোনা তাহাকে কভু বলা।


রচনাকাল
৩১।০৭।২০১৪
ইউ এ ই ।