হে কবিগুরু তুমি সাহিত্যকে করেছ শুরু
ব্রিটিশ ভারতে কলকাতায় জন্ম তোমার,
পিরালি ব্রাহ্মণ পরিবারের বংশধর তুমি
কাব্যের বুকে বাস,তুমি আমার অহংকার।


ব্রাহ্ম ধর্মগুরু মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরপিতা
মাতা সারদা সুন্দরী দেবীর চতুর্দশ সন্তান ,
শৈশবে  কাটিয়েছ ব্যাপক চঞ্চলতায় ঘিরে
কিন্তু মেধা মননে ছিলো দারুণ অবস্থান ।


আট বছরে এ ধরলে কলমে কাব্যরচনা
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’য় তাঁর প্রথম প্রকাশ,
মন রাঙিয়ে দিলে সবার মন জুড়ে সদা
নাম ছিলো অতি সুন্দর সেই ‘অভিলাষ’।


যৌবনের তাগিদে সু-সময়ে ১৮৮৩ সালে
মৃণালিনী দেবীকে বিয়ে করে আনলে ঘর,
পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি বাড়িতে
সাজালে সুন্দর সুখের কাব্য নিয়ে সংসার।  


স্থির হলেনা পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে
চলে গিয়ে  করলে স্থায়ীব্রহ্মচর্যাশ্রম স্থাপন,
১৯০২ সালে তোমার পত্নীবিয়োগের পর
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন।


১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ গ্রন্থের অনুবাদে
তুলে নিলে  প্রথম নোবেলজয়ী  পুরস্কার ,
১৯১৫ সালে  ব্রিটিশ  সরকার দিল নাইট
উপাধি বাংলা সাহিত্যেগুরু হয়ে আবিষ্কার।


সেই থেকে ছুটেছ সাহিত্যে বুকে নিয়ে সদা
একের পর এক কত শত উপন্যাস কবিতা
গানে  তুলে  এনেছে পাগলিনী শ্যামা সুরে
রাধাকে উন্মাদ করে স্বপ্নের অসংখ্য ছবিতা।


আবৃত্তি করিয়ে গেলে জীবনের কবিতাসব
গেয়ে গেলে চাষী মজুর কলিদের সংসার,
দীর্ঘ রোগভোগে ক্লান্ত হয়ে ১৯৪১ সালে
৭ই অগাস্ট  জোড়াসাঁকোর শেষ  নিঃশ্বাস
ত্যাগ করলে,তুমি ছিলে আমার অহংকার।


রচনাকাল
০৭।০৮।২০১৪
ইউ এ ই


বিঃদ্রঃ আজ ২২শে শ্রাবণ ১৪২১ কবি গুরু রবিঠাকুরের মহাপ্রয়াণ দিবস। বাঙালির সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ট কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ।  কবিতাটি আমাদের আসরের কবি আমার শ্রদ্ধাভাজন অরূপ গোস্বামী কবিবন্ধুর অনুরোধে লিখেছিলাম । জানি এই গুরু কে নিয়ে লেখার কিছু লেখার মত আমার সাহস নেই ।তবু ও দুই কলম লেখার চেষ্টা করলাম মাত্র ।