আমি তাহারি নাম ধরিয়া ডাকিয়াছি শতবার,
সে  চকিত নয়নে ফিরিয়া চাহিলো একবার।
সময়ের অবিরল বনানীর বুক ভেদি উচ্ছ্বাসিত,
স্নিগ্ধ লাবণ্যে তাহার রূপে আমি যে উদ্ভাসিত।


তাহার ঝলসানো চাউনি আমায় করিয়াছে স্তব্ধ,
যৌবনে'র ফুল ফুটিয়াছে দেহে আহা আমি মুগ্ধ!
সিঁড়ি খুঁজি তাহারি রূপের বক্ষে যমুনায় ঢেউ,
হৃদয় ভিড়িলো প্রেমের ঘাটে জানিলোনা কেউ।


ইঙ্গিত করিয়াছি চক্ষুতীর ছুঁড়িয়া কভু আলাপনে,
বোধকরি সে বুঝিয়া বুঝিলো না আমায় স্বপনে।
একদা রাগিয়া কহিলাম তাহারে ইতি টানিলাম,
ঈষৎ হাসিয়া অধরে প্রদীপ জ্বলিতে দেখিলাম।


আমি বুঝিয়া লইলাম মোমদীপ গলিয়াছে প্রেমে,
অভিনয় করিয়া চলিয়াছি অভিনব সময়ের ক্রমে।
আড়ালে রহিলাম তাহার আঁখিআলো থেকে ক্ষণ,
দূর হইতে দেখিলাম আমায় খুঁজিতেছে তাহার মন।


এক সন্ধ্যায় আমার নীড়ে পড়িলো তাহার চরণ,
হতবাক হইয়া রইলাম দু'চোখে বহিতেছে শ্রাবণ।
দর্শন মিলিলো গভীর প্রেমের অনুভূত সুখখানি
আদর করিয়া আমায় ডাকিলো ওহে আসমা দেবযানী ।


রচনাকাল
১০।০৮।২০১৪
ইউ এ ই।