আমি আজ তেপান্তরে'র মাঠে শিশির কুড়াবো,
তুমি যাবে আমার সাথে ?
প্রভাতের মিঠা আলোয় তোমার পায়ের নূপুরের রিনিঝিনি শব্দে  
ভাঙ্গা শিশিরে আগমন বারতা বহন করবে নির্মল চেতনা ।
শাড়ি পড়ে নিও কেমন শায়া-ব্লাউজ হীন,
আঁচল উড়িয়ে দুলবে তুমি রূপ সৌরভে আমি দেখবো তোমায় নয়ন ভরে।
কলাপাতা রঙ্গের কাপড়ে তোমায় বেশ রূপবতী লাগে বৈকি!!
তুমি দেখো,তোমার রূপের আগুনে ঐ শিশির গুলো লাজে মুখ লুকাবেই-
উজ্জ্বল চোখের দৃষ্টি নিঃসংকোচে তারা গুমরে পড়বে।
কন্ঠাগ্রে সেই মুক্তা মালাটি সাজিয়ে দাও-
গহীন রাতের খোলা এলোমেলো চুল গুলো উড়তে দাও ভোরের হাওয়ায়
দারুণ সতেজতা অনুভব করবে ।
চুষিত শুষক অধর যেমন টি আছে সেই ভাবে রাখো ,
আমি তাতে দূর্বাজল লেপে দিব চুম্বিত ঠোঁটে।
কান্ড দেখো !! আর কত দেরী ?
শিশির গুলো জেগে উঠবে তো !!হাঁটি হাঁটি পা-পা
আস্তে চলো,সাবধান শব্দ করো না -
তোমার পায়েলের শব্দ হাতের কাঁকনের উদগ্র কামনা'র ঝঙ্কার
তাদের নীরবতা কে জাগিয়ে তুলবে ।
হে প্রিয়ে, (তেপান্তরের মাঠে)
তোমার মেহেদী রাঙ্গা চরণ আমার হাঁটু'তে রাখো,
আমি ঐ লাজুক শিশিরে তোমায় ভিজিয়ে দিই কোমল পরশে।
মেঘের গুরুগুরু পবনে তোমার কাজল কালো হরিণ-চোখ দুটি
কেমন স্বচ্ছতায় অনুভবে মত্ত যেন আজ কৃষ্ণকলির খেলায় ।
কি ব্যাপার তুমি কাঁপছ কেন ঠকঠক করে!!
তোমার টিঁয়ে ঠোঁটে'র রসালো জল আজ এত উদাসীন কেন বলতো ?
এসো মনগৃহের প্রাচীর প্রাঙ্গণতলে এসো হে দিবসশর্বরী ,
আজ আমার বুকে হৃদয়ে গভীরে ভোরের তির্যক আলোর চমক দেখাবো,
শিশিরে ভাসিয়ে দিবো রসালো উষ্ণতা হে প্রিয়ে,তুমি এই শিশির জলে ভাসো
আঁচল পেতে,আর আমি তোমার সেই আঁচলে খোদায় করবো শিশির জলে কবিতা।


রচনাকাল
১১।০৮।২০১৪
ইউ এ ই।