নিবিড়  নিকুঞ্জবন হইতে আসিয়াছে ভাসি,
এলোকেশী চুলে উষ্ণতা মৃদু কম্পন রাশি।
আমি  তোমাকেই আঁকিয়াছি অতি যতনে,
মাতিয়া পাগল করিয়া লহ হে চক্ষু স্বপনে।


কাননের  ফুলের সুবাস যেন তুচ্ছ পরবাস
তোমার গায়ের গন্ধে মাতোয়ারা পুষ্পরাজ।
ধারি'ছে সুবাসিত রেনু লয়ে মনে বীণা বেণু
আমি তোমারি দোপাট্টায় খুঁজি সোহাগ মেনু।


স্থাপিলাম পুষ্পরেণু  তব খোঁপার পাহাড়ে,
আমি যাহাকে খুঁজিয়াছি পাইয়াছি তাহারে।
যৌবনের বিচিত্র বন্যায় দেখিয়াছি ঐ রূপ
তুমি পীতাম্বরী পরী অপস্বরা পুষ্প  স্বরূপ।


অষ্টাদশী যৌবনে ঘরে বিস্মৃত বারতা মনে
নিঁখুদ বানিয়াছেন বিধাতা অতি সুখ ক্ষণে।
মনে জাগিয়াছে সাধ উচ্ছ্বাসিয়া মাতি রাত,
আসো হে মন ললনা হোলি খেলি প্রভাত।


মধুমাসে আসিলে মনে,বরষায় সঙ্গোপনে,
সাজাইলাম বাসর খানা বসিলে রাঙ্গা মনে।
হারাইলাম দু'জনাই মধুর সুখে আলাপনে,
নব পুষ্পরাজি ফোটিলো সুখের তপোবনে।


রচনাকাল
১৭।০৮।২০১৪
ইউ এ ই।