ওগো  অনুরাগের  অভিমানী আমার মনের প্রিয়তমা,
সহস্র সংকল্প করি আমি আমায় করো একটু  ক্ষমা।
সবুজ  ঘাসে সুরুজ হাসে মুখটা কেন তোমার ভার ?
মুদ্রিত আঁখিপাতায় দৃষ্টি  কেন এ নীরবতার জোয়ার।


দেখো তোমার দেহের নরম পশমগুলো বড় অসহায়,
আমায় বল কেনো এত অভিমান রেখেছ কি অভিপ্রায়।
দেখো কান্না হাসির পোঁটলা বাঁধা তোমার ঐ সুশ্রী মুখ,
সুখের ভিতর দুঃখের আগমন এনে কেন কি পাও সুখ।


আমার চোখের দিকে দেখো আজ চোখেরা কথা বলুক,
চোখের ভাষায় হারিয়ে যাক আপনে যে যার মত চলুক।
তাকাবে না জানি আচ্ছা তোমার হাত গুলো দাও দেখি,
মেহেদী রাঙ্গা হাতে চুমু আঁকি ওরে ভালোবাসার পাখি।


আমার পাখিটির নাম রুম্পা ময়না কেন কথা কয় না,
তোমার গভীর মলিন বদন কষ্ট মনে দুঃখ যে সয় না।
কোন কষ্টে রেখেছি বলো কেনো আছো যে অভিমানে,
ভালোবাসায় ভরা এই মন টা বেঁধেছি কত যে যতনে।


আচ্ছা আমার কোলে মাথা রাখো ঘুমাও মন সযতনে,
এক বার বলো কেন ঐ আকাশে কালো মেঘের বসনে।
চলো রঙ্গিন বসন কিনে দিবো করতে হবেনা রান্নাবান্না,
বাহির থেকে খেয়ে নিবো ,কিনে দিব হীরা চূনি পান্না।


ওরে বাবা এত গাঢ় অভিমানে গড়া তোমার কোমল মনে,
আচ্ছা আমিও অনুরাগে সিক্ত হলাম অভিমান এই ক্ষণে।
আমরা দু'ই জন দু'দিকে ফিরে আছি মনের হাইবিলাসে,
লক্ষ করলাম, প্রিয়া আমায় আড় চোখে তাকায় হরষে ।


রাগ রাঙ্গা মনে আমার কোলে মাথা রেখে আবদার করে
অনেক দিন হলো বাপের বাড়ি যায় না তাঁদের মনে পড়ে।
আমি শুরুতেই আঁচ করেছিলাম এমন কিছুই  হতে পারে
হ্যাঁ সূচক উত্তর দিতেই খুশিতে আত্নহারা সুখের ঝংকারে।


রচনাকাল
২৯।০৮।২০১৪
ইউ এ ই।  


বিঃদ্রঃ-আজ প্রকাশিত হলো "ভালোবাসার অংশ বিশেষ"৩য় খন্ড "অভিমানী আবদার"।আমি মনে করি সবার বিবাহিত জীবনে এমন কিছু  ভালোবাসার মধুময় ক্ষণ এসে থাকে আর সেই দিক খেয়াল করে কবিতাগুলো রচনার প্রয়াস চালাচ্ছি ।ভালো থাকুন সবায় ।