ঘর থেকে বাইরে  আর বাইরে  থেকে ঘর,
অপেক্ষায় মত্ত লতিফা আসবে কবে সাগর।
শুকনো মুখে আঁধার ধোঁয়া অস্থির দূর্বাজল
সাগর জলে ভাসিয়ে দিবে লতিফা উজ্জ্বল।


তিন বছরের অবুঝ সন্তানকে দিয়ে ঘুমবড়ি,
সাগর যখন আসবে  ঘেঁসে খেলবে ছচ্চড়ি।
স্বামী গেছে জীবিকার জন্য নিশি কুঞ্জ ফাঁকা
মাতাল হয়ে ফিরে আসে লতিফার স্বপ্নবাঁকা।


লতিফা কেন সেজেছে আজ রঙ্গিন বনফুল,
তা দেখে স্বামী নেশায় পাগল প্রহার দ্বিগুন।
উত্তম মাধ্যম দিয়ে স্বামী বের হলো নেশায়,
পঞ্চাশ বছরেরপতি একুশে লতিফার যমুনায়।


সাগর আসলো ঘরে চুপিসারে লতিফা চঞ্চল,
যৌবন সাগর উত্তাল ঢেউ ঘামে ভেজা অঞ্চল।
লতিফা বিয়ের জন্য চাপ দেয় সাগরের বুকে
স্বামীর  সংসারে থু' মেরে যাবে আহরণ সুখে।


বাঁধ সাধলো  লতিফার সন্তান সাগর নারাজ,
অন্যের  ছেলের নিবে না ভার সংসার সারাজ।
অনুরোধে উপায়ন্ত  না দেখে ভাবে মোহনায়,
সুধা আবেগে মাতাল লতিফা যৌবন কামনায়।


তিন বছরের শিশুর মুখখানি দেখলো না চেয়ে,
উন্মাদিনী সুখের নেশা যেন পাথর গেলো খয়ে।
নিষ্পাপ শিশু বলি হলো পরকিয়া প্রেমের ঘরে,
বিবেক যেন স্তব্ধ হাসে লতিফার মনের সংসারে।


সাগরের বুকে যেন ধুলো জলে জোয়ার অবিরাম
লতিফা প্রেমের কারনে সন্তানকে দিল বলিদান।
সাগরের  প্রেমে ভাটা পড়লো বিবেকের তাড়না,
নিজ সন্তানের খুন চুষেছে হয়তো আমায় ছাড়বেনা।


উন্মাদিনী পাগলিনী লতিফা আজ ঘুরে পথেপ্রান্তরে,
প্রলাপ বকে নিরবধি সুতাহীন,এই সমাজ সংসারে।


রচনাকাল
০২।০৯।২০১৪
ইউ এ ই।