শিহরণ জাগে মন ভাবে অকারণ
আমি কি করে লিখবো  কবিতা,
মনের  মরু পান্তরে ধূ-ধূ বালুচর
কাব্যেহীন আমি প্রেমিকা সবিতা।


কাল বলেছিলে ক'লাইন  লিখতে
পাঠে শুনাতে হবে আজ সন্ধ্যাবেলা,
মোমদীপ জ্বেলে রাখবে সে নির্জনে
আঁখিতে চেয়ে খেলবে কবিতাখেলা।


উপস!কি যে করি কাব্যের পায়ে ধরি
আসো না মনে ক'লাইন লিখি নীরবে,
প্রিয়া আমার  বাইনার আয়না ধরেছে
ভেসে উঠো মনে কাব্যগুনের সৌরভে।


রাত কেটে গেলো নির্জন গভীর ঘেঁসে
হয়নি লেখা এক স্তবক কবিতা উপমা
ভোর রাতে বুদ্ধি খেলে গেলো আচমকা
চুরি করা কবিতায় সাজাবো নিরুপমা।


শিমুল শুভ্রকে ক'জনেই বা চিনে কাব্যে
তুলে নিই তাঁর এক কাব্য গাঁথা কবিতা
নিজের নামে  চালিয়ে দিবো নিঃচিন্তায়
খুশি হবে আমার প্রাণের প্রেয়সী সবিতা।


সন্ধ্যা বেলায় খুশির আলো জ্বেলে দিয়ে
ছুটে  গেলাম  মনের সাথে মন বিনিময়ে,
পাঠ  করছি উত্সাহে পাল তুলে লাইনে
আচমকায়  থামতে হলো তার সবিনয়ে।


বুকে টান দিয়ে উঠলো ভয়ের আঙ্গিনায়
চমকিত মনে তার মুখের জটিল ইশারায়,
গর্জন তুলে চিত্কার দিলো চুরির ঠিকানা
শিমুল শুভ্রের কবিতা পাঠ করছ উছলায়?


রাগত স্বরে চলে যাচ্ছে খোলা চুল চেড়ে,
মনে এসে গেলো কাব্যে গাঁথা ক'টি স্তবক
তার এলোকেশী চুলে যেন কাব্য বসবাস
লিখে ফেললাম দুস্তর কাব্যে মন সাদাবক।


রচনাকাল
০৩।০৮।২০১৪
ইউ এ ই ।