ছায়ারূপে মায়া মেয়ের মাথার আশ্রয়
চলে আসছে আদি থেকে অনাদি কাল,
অধিক জ্ঞান লাভের আশায় ঘরে শিক্ষক
রেখে পড়িয়ে যাচ্ছেন সদা সমান তাল।


সুমনা শ্রদ্ধাভরে জ্ঞান লাভে ব্যস্ত নিরবধি
শিক্ষকের কাছে প্রতিদিন সময় মাপেক,
প্রবাসী  বাবার এক মাত্র মেয়ে রূপবতী
মায়ের প্রেম পেয়ে ও বাবার জন্য আক্ষেপ।


একদা পড়ার টেবিলে শিক্ষক পড়াচ্ছেন
আচমকায় মায়ের ইশারায় সুমনা ভাবলো,
কি ইঙ্গিত করলেন মা শিক্ষক কে তা ভেবে
সুমনার সারাটি রাত গভীর চিন্তায় কাটলো।


আজ কলেজ থেকে একটু আগে ফিরে এলো
দরজায় দাঁড়িয়ে শব্দ করে খোলার আহবান,
কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে পিছনের বাতায়নে
উঁকি দিতেই মা-শিক্ষকের অনৈতিক অবস্থান।


অবাক কষ্ট মনে বুকে বেঁধে নিশ্চুপ থাকে সদা
মাকে বলতে পারলো না লাজ শরমের পালে
এ কোন খেলায় মা মেতেছেন বাবা কে ফেলে
সুমনা কান্নায় আঁখি ভাসায় নীরব বক্ষ জলে।


মায়ের প্রেম এতটা অন্ধ হলো শিক্ষকের প্রতি
অভিসারে গুপ্তসুখে মজে থাকে দু'জন সারাক্ষণ
সম্প্রতি সুমনার দেহের গড়ন দেখে শিক্ষক যেন
ভালোবাসায় জড়িয়ে পিপাসা মেটানোর অনুরন।


কথার বাঁকে পড়ার ফাঁকে শিক্ষকের আচরণ যেন
সুমনার লাজুক নয়নে মন ভাঙ্গনের সুরের লহরী,
এই শিক্ষককে দূর থেকে ভালোবেসেছিলো নীরবে
আজ মায়ের সাথে তার অবৈধ  প্রেমের  কান্ডারী।


এক সন্ধ্যায় এলোমেলো চুলে ঘুমের ঘোরে সুমনা
দোপাট্টা  বিহীন  আগোছালো  বসনে তার কক্ষে,
শিক্ষক এসে সেই চিত্র দেখে হিংস্র বাঘ যেন হলো
জোড়  করে  মনের  আশা মিটালো সুমনার বক্ষে।


লাজুক মেয়ে সুমনা শুধুই একা কাঁদলো নীরব স্রোতে
সময় পার হতে লাগলো দিনের পর দিন দু'ই মাস,
কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়ালো সুমনার দেহে
এই মধুমাসে ভরা যৌবনে ঘঠলো অনাসৃ্ষ্টি সর্বনাশ।


লজ্জায় অপমানে সুমনা বেছে নিলো আত্নহত্যার পথ
ঘরের কোণে ফ্যানের সাথে সম্ভ্রম রক্ষার দোপাট্ট দিয়ে,
মায়ের অনাক্ঙ্খিত ভালোবাসার দাম দিয়ে গেলো সুমনা
নিষ্পাপ মনে হাতে এক খানা চিরকুট লিখে সব জানিয়ে।


ভুলের মাত্রা আছে মানব জীবনে কিন্তু এ কেমন ভুল,
মা-শিক্ষকের অনৈতিক অবস্থানে সুমনা আজ ঝরাফুল।


রচনাকাল
০৪।০৮।২০১৪
ইউ এ ই।


বিঃদ্রঃ-অনুরোধ  থাকলো আমার সকল শ্রদ্ধাভাজন কবিবন্ধু এবং সম্মানীত পাঠক বন্ধুদের প্রতি  আপনারা কবিতাটি পুরো পড়ে তারপর ঘঠন মূলক মন্তব্যে আসার জন্য ।এটি একটি আমাদের সমাজের বাস্তব নষ্ট উপাখ্যান ।ভালো থাকুন সবায় ধন্যবাদ।