চন্দ্রের আলোয় ভরা সুমি'র আঁখি যুগল
কালোকেশী  এলোমেলো চুলের বাহার,
সুমন চেয়ে আছে বেশ গভীর চাউনি'তে
আকাশের শুভ্র মেঘে'তে হাসির ঝংকার।


দু'জনেই বেকার পড়ালেখা শেষ করেছে
এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে খুঁজছে চাকুরি,
প্রতিজ্ঞা ছিলো দু'জনের মাঝে এক জন
চাকুরি পেলে সানাই সুরে হবে সংসারী।


একদিন সুমি'র কপাল খুলে গেলো ভাগ্য
হাতে  পেলো স্বপ্নে আঁকা সোনার হরিণ,
সুমন বিয়ের জন্য তাড়া করে ফিরে সদা
বিয়ে,বাসর সাজিয়ে জীবন করবে রঙ্গিন।


কিন্তু  সুমি  বেড়ি বাঁধ  বাঁধে এত শীঘ্রই
জড়াতে চায় না সংসারের কঠিন বাঁধনে,
বুঝতে চায় জীবনের কঠিন সীমানা গুলো
স্বপ্ন সুখের রঙ্গিন ঘর সাজানোর অঙ্গনে।


সুমির অফিসের বড়বাবুর টাকার পাহাড়ে
নতুন করে খুঁজে পেলো সুখের স্বপ্নসিঁড়ি,
সুমনের  কথা আজ আর আসছেনা মনে
উত্ফুল্ল  মুখে ব্যস্ত  বাঁধতে জীবন বেড়ি।


বড় বাবুর ঘরে সুন্দরী  বউ আছে জেনেও
সুমির এতটুকু সংকোচ আসেনি কভু মনে,
অন্ধ প্রেমে সিক্ত সুমি জীবনের আঙ্গিনায়
বিছানায় শয্যাশায়ী হয়েছে বড়বাবুর সনে।


টাকার মোহে পড়ে সুমি উজার করা প্রেমে
মাথা চক্কর দিয়ে ভমিটিং এ ভাসালো ঘর,
দুনিয়া আজ ঘুরছে যেন সুমির মস্তক ভেদে
ডাক্তার এসে পরীক্ষা করে শুনালো সুখবর।


অনাকাঙ্খিত খবরে বিচলিত সুমি বড়বাবুকে
অধিকার  স্থাপনের কথা বলে যায় নিরবধি,
সংসার সাজাতে চায় নববধূ সেজে পরিণয়ে
কিন্তু বড় বাবু সোজাসোজি জানায় অসম্মতি।


উত্তেজিত সুমি আজ পাগলিনী সিন্ধান্ত ভুলে
বেশ  চড়াও হয়ে বড়বাবু'কে চাপ সৃষ্টি করে,
কিন্তু হায় নিয়তির বিধি  বাম সুমির জীবনে
নিঃশ্বাস তুলে নিলো কলি থেকে ফুল তেড়ে।


বাঁচতে  হলে  চিনতে হবে জানতে হবে গতি,
বুঝতে হবে জীবন মানচিত্র সকল সুমির প্রতি।


রচনাকাল
০৬।০৯।২০১৪
ইউ এ ই ।


বিঃদ্রঃ-অনুরোধ  থাকলো আমার সকল শ্রদ্ধাভাজন কবিবন্ধু এবং সম্মানীত পাঠক বন্ধুদের প্রতি  আপনারা কবিতাটি পুরো পড়ে তারপর ঘঠন মূলক মন্তব্যে আসার জন্য । এটি একটি আমাদের সমাজের বাস্তব উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত।ভালো থাকুন সবায় ধন্যবাদ।